চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাছাকাছি সময়ে একযোগে নগরীর ৬ থানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে ভস্মীভূত হয় থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও যানবাহন, অস্ত্রাগার থেকে লুট করা হয় অস্ত্র। আগুনে জ্বলে যাওয়া ৬ থানায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে থানাগুলোতে আগুন দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে এ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হালিশহর থানার অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র, নগদ টাকা লুট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে বিভিন্ন আলামত, থানার সরকারি গাড়ি ও থানা ভবনে আগুন দেয়ার অপরাধে গত ২৭ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন এসআই তৌফিকুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিকেল তিনটার দিকে প্রায় ১৫-১৬ হাজার দুষ্কৃতকারী থানায় হামলা চালায়। তারা এক কোটি ৫০ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল লুট করে।
থানার সর্বমোট ক্ষতির পরিমাণ তিন কোটি টাকা।
একই ধরনের অপরাধে ইপিজেড থানায় গত ২২ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন এসআই শাকিলুর রহমান। ইপিজেড থানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি ৩৭ লক্ষ আট হাজার ৫০ টাকা। লুট করা হয় ৯১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮ টাকার মালামাল। পাহাড়তলী থানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিন কোটি ৬৫ লাখ টাকা কোতোয়ালী থানায় মালামাল লুট করা হয় তিন লাখ টাকা; মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আট কোটি ২৭ লাখ টাকা।
ডবলমুরিং থানায় ১০-১২ হাজার দুষ্কৃতকারী হামলা চালায় বিকেল তিনটায়। লুট করা হয় অস্ত্র। আগুন দেয়া থানা ভবনে। এ ব্যাপারে গত ২৭ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন এসআই ইমাম হোসেন। দুষ্কৃতকারীরা লুট করে এক কোটি ১৫ লাখ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ লাখ ৯৮ হাজার। পতেঙ্গা থানায় প্রায় ২৫ হাজার দুষ্কৃতকারী হামলা চালায় বিকেল সাড়ে তিনটায়। আগুনে থানার পুরো ভবনটি ভস্মীভ‚ত হয়। লুট করা হয় তিন কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার মালামাল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিন কোটি ৮২ লাখ টাকা।