ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঁদাবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাষনে ক্ষতিগ্রস্থ বিএনপির সাধারন নেতাকর্মী ও জনসাধারন রিমনের বহিস্কার দাবী করেছে। তাকে বহিস্কার করা না হলে কঠোর কর্মসুচী দিবে বলে জানান স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গত ৫ আগষ্ট দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিপা, তার স্বামী সোহাগ মীর ও স্থানীয় সাইফুল আকন ও হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে রিমনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা হামলা চালায়। এর তিনদিন পরে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঐ তিনজনকে রাস্তায় চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয় রিমন এমন একটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর নজরুলের কাঠের ব্যবসা রয়েছে। কাঠ ট্রাকে তুলতে বাঁধা প্রদান করেন রিমন। নির্দিষ্ট অংকের চাদাঁ পরিশোধ করার পরে নজরুল মেম্বারকে ট্রাকে কাঠ তোলার অনুমতি প্রদান করেন রিমন। কাঠের ঘর এলাকার রিনা বেগমের মেয়ের জামাইকে গরু চোর নাটক মন্তস্থ করেন রিমন নিজের গরু লুকিয়ে রেখে। পরে রিনা বেগমের মেয়ের জামাই থেকে এক লাখ টাকা আদায় করে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ৫ আগষ্টের পরে গরু চোরকে রক্ষা করার জন্য নলছিটি থানায় গরু চোরদের ব্যাপারে তদবির, জমি দখল, হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। রিমনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বিএনপির সুনাম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। রিমনের দখল বানিজ্য ও চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ ইউনিয়ন বিএনপির খোদ সভাপতি। তিনি রিমনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ শুনে রিমনের ব্যাপারে বিরক্ত ও অতিষ্ঠ। রিমন গত পনের বছর আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে আয় বানিজ্য করেছেন। ২০০১ সালে রিমন ও তার পিতার বিরুদ্ধে বিএনপির মিছিলে হামলা করার অভিযোগে দপদপিয়া সভাপতি নান্টু মল্লিক ঝালকাঠি আদালতে মামলা দায়ের করেছিল। যার মামলা নং ১।
রিমনের পরিবার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। রিমনের ভাই সুমন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। রিমনের চাচা মহিউদ্দিন আকন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, চাচাতো ভাই সাদ্দাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা, আরেক চাচাতো ভাই আলম আকন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, তানজিল যুবলীগের সদস্য। ফরিদ আকন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
রিমনকে মটরসাইকেল চুরি ও হামলার অভিযোগে নলছিটির থানা পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছিল বলে নলছিটি থানার তৎকালীন এস আই মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।দপদপিয়ায় রিমনের ত্রাস ,চাদাঁবাজি ও দখল বানিজ্যের কারনে অতি সত্ত্বর বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষ।
অভিযোগ অস্বীকার করে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এখন বিএনপির লোক অনেক, ৫ তারিখের আগে কোন লোক ছিলো না। আমরা অল্প কয়জন বিএনপির লোক ছিলাম।
দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক অভিযোগের এ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রিমন ৫ আগষ্টের পর যা করেছে তা মোটেও কাম্য নয়। আমাকে বিভিন্ন সময় মানুষ ফোন দিয়ে জানায় তার এসব কর্মকান্ডের কথা । তার বিষয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা উপজেলা বিএনপি নিতে পারে আমি তাদের কাছে বিষয়টি সব জানিয়েছি।