সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেন একটি প্রভাবশালী ভূমিখোকো চক্র আনোয়ার মিয়া নামে একজন নিরীহ দিনমুজুরের পাকা বসতভিটা দখল করে নিয়ে উল্টো তাকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি প্রদান করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামে।
এ ঘটনায় টাইলা গ্রামের নিরীহ আনোয়া মিয়া একই গ্রামের মৃত আবারক আলীর ছেলে ভূমিখেকো আপ্তাব আলী,তার সহোদর সুহেল মিয়া,রুহেল মিয়া,তাদের চাচাতো ভাই আরশ আলীর ছেলে সেলিম মিয়া,মৃত আলকাছ আলীর ছেলে আকিবুল মিয়া ও আপ্তাব আলীর ছেলে রাহিম মিয়াকে অভিযুক্ত করে গত ৫ সেপ্টেম্বর নিজে বাদি হয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও বিভিন্ন তারিখে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ও এসিল্যান্ড বরাবরে পৃথক আরো দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তফশীল বর্ণিত টাইলা মৌজার ৩৯ জে এল নং,৬৭১ খতিয়ানে ৩৩২ দাগে ৬ শতক চারা রকম ভূমি টাইলা গ্রামের মৃত তাজ আলীর ছেলে আবারক আলী ও মৃত আলম উল্ল্যাহর ছেলে ফজল উল্ল্যাহর নিকট হতে ২০০৮ সালে ও ২০১২ সালে দুটি দলিলের মাধ্যমে এই জায়গাটুকু বাদির স্ত্রী রেনুকা বিবির নামে রেজিস্ট্রারী করে নেন। এরপর থেকেই দিনমুজুর আনোয়ার মিয়া খরিদকৃত জায়গাটি তার দখলে থাকার পর আনুমানিক ২০১৬ সালে তিনি তার বসতভিটায় মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করে টাকা পয়সা জোগাড় করে ইট বালু এনে বসতঘর নির্মাাণে লিন্টারের কাজ সম্পন্ন করেন। পরবর্তী আর্থিক সংগতি না থাকায় ঘরের বাকি কাজটি তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আনুমানিক ২০১৭ সালে দুই বিক্রেতা আবারক আলী ও ফজল উল্ল্যা মৃত্যুবরণ করার পর আবারক আলীর নামাংঙ্কিত ছেলেরাসহ কয়েকজন মিলে আনোয়ার মিয়ার লিন্টার দেয়া বাড়িটি দখলে নেয়।
ভূমিখেকোচক্রটি বাদি আনোয়ার মিয়া ও তার স্ত্রীকে গ্রামছাড়া করতে বিভিন্নভাবে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি ও প্রদান করে আসছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। ফলে নিরীহ আনোয়ার মিয়া নিজে তার পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম ছাড়া অবস্থায় মানবেতন জীবনযাপন করে আসছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী আনোয়ার মিয়া জানান,দিনমুজুরী করে তিলে তিলে টাকা জমিয়ে ৬ শতক চারা রকম ভূমি দলিল মূলে খরিদ করে বসতঘওে লিন্টারের কাজ সম্পন্ন করলে ও এই দখলকারীদের হুুমকিতে প্রাণের ভয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামছাড়া আমি। তিনি বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট তার বসতভিটা উদ্ধারের পাশাপাশি দখলকারী ভূমিখেকোদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে দখলকারী ভূমিখেকো সুহেল মিয়ার সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ