ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলার ১২টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ শহরের সূধীজন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. বিমান কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী বিমল বণিকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাবু পরিমল কান্তি দে।
এছাড়াও বক্তব্যে রাখেন দেবব্রত দাস,সুখেন্দু সেন,এড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,এড. গৌরাঙ্গ পদ দাস,এড. রাধাকান্ত সূত্রধর,শুভব্রত বসু,চঞ্চল কুমার লৌহ,বিপ্রেশ রায় বাপ্পি,কলি তালুকদার আরতি, জ্যোতিভূষন তালুকদার ঝন্টু ,অরুণ চন্দ্র দেব, প্রদীপ চৌধুরী আচঁল,জীবন কৃষ্ণ দাস,স্বপন কুমার বর্মণ,সুভাষ পুরকায়স্থ,গণেশ তালুকদার,বাবুল রায় অরুণ গোস্বামী,দোলন তরফদার,সোনাধন দে,সতীশ গোস্বামী,ধর্মীয় রায়,সম্ভনাথ রায়,মিন্টু চৌধুরী,কালীপদ দাস,মতিলাল চন্দ,এড. দীপংঙ্কর বণিক, মধুসুদন তালুকদার,মহিতোষ চৌধুরী,কর্ণ বাবু দাস,মানিক রায়,রানু দাস,স্বাধীন কুমার দাস,রিপন তালুকদার,অরুণ গোস্বামী,অজিত কুমার রায় অজিত কুমার দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আগামী শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সম্প্রীতির জেলা সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সুনামগঞ্জ জেলা শহর সহ জেলার ১২টি উপজেলার নেতৃবৃন্দের সামনে দশ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়েছে।
দাবীগুলো হলো ১নং-প্রতিমা তৈরী থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি পূজামন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছা,পাহাড়াদারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা,২নং-ধর্মীয় ভারগাম্ভীর্য বজায় রেখে উৎসবমূখর পরিবেশে দূর্গোৎসব পালন করা,৩নং পূজা মন্ডপে নারী ও পূরুষের পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা করে রাখা,৪নং- কোনরুপ আতসবাজি ফটকা ফোটানো এবং অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা,৫নং পূজা মন্ডপে আবশ্যিকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানো,৬নং-ভক্তিমূলক সঙ্গীত ব্যাতিত অন্য কোন গানবাজনা থেকে বিরত থাকা,৭নং- পূজামন্ডপএলাকায় এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে রাখা,৮নং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান ও সময় নির্ধারন করা,৯নং- পূজা চলাকালীন রাত সাড়ে ১১ টায় বন্ধ রাখার নির্দেশনা মেনে চলা এবং ১০ নং হচ্ছে কোন প্রকার গুজবে কান না দেয়া এবং কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর হলে তাৎক্ষনিক আইন শৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার আহবান জানানো হয়।
পরে প্রতিবছর দূর্গাপূজোয় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল বণিকসহ দুজনকে সম্মাননা তুলে দেন অতিথিরা।