কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের ইলাহি সিকদার।
গোপালগঞ্জে সেনাসদস্যের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় কারাগারে থাকা এক আসামি হাসপাতালে মারা গেছেন। শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর রাত একটার দিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আসামি ইলাহি সিকদারের মৃত্যু হয়।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জিবিতেষ বিশ্বাস ও জেলা কারাগারের জেলার আবুল হোসেন আসামির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইলাহি সিকদার (২৫) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের মহি সিকদারের ছেলে। তিনি ফলসি বাজারে মিষ্টির দোকানদার ছিলেন।
ইলাহি সিকদারের বড় ভাই কুদরত সিকদার বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে ইলাহিকে ফলসি গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায়, ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গতকাল রাতে জেলখানা থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, ইলাহি সিকদার অসুস্থ। রাত তিনটার দিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখেন ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আবুল হোসেন বলেন, ‘উনি যখন ৪ তারিখে আসেন, তখন আহত অবস্থায় আসেন। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেখান থেকে ছাড়পত্রসহ কারাগারে আসেন। আমরা তাকে আবার হাসপাতালে পাঠাই। সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে কারাগারে নিয়ে আসা হয়। গতকাল রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোপালগঞ্জ কারাগারের নার্স মো: বদিউজ্জামান বলেন, সন্ধ্যার আগে তাকে যখন জেলা কারাগারে আনা হয়, তখন সে খুব অসুস্থ ছিল। হাঁটতে পারত না। তাকে হুইলচেয়ারে করে ভেতরে নিয়েছি এবং চিকিৎসা দিয়েছি। পরে রাতেই তাকে আমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এর আগে সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জিবিতেষ বিশ্বাস বলেন, ইলাহি সিকাদারকে তিনবার হাসপাতালে আনা হয়। প্রথম ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ২৪ মিনিটে, দ্বিতীয় দফায় ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩৭ মিনিটে এনে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে ২টা ১১ মিনিটে আবার হাসপাতালে এনে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর তৃতীয় দফায় গতকাল রাত এক টার দিকে তাকে জেলা কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।