নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের গরীব কৃষক কেরামত
২১ শতাংশ জমি ক্রয় করে মহা বিপদে পরেছে। ক্রয়কৃত জমির সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি জবর
দখল করে ভোগ করছে প্রভাবশালী প্রতিবেশীরা । বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিচার
শালিশে পাচ্ছেন না কোন সমাধান । উল্টো প্রভাবশালীরাই মামলা করছে, বিভিন্ন ভাবে
হুমকি ধামকি, হামলা করে কেরামতকে নাজেহাল বানিয়েছেন প্রভাবশালী সরকারী
চাকুরীজিবী, কোর্টের মোহরীরা।
অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের
কুজাপাড়া গ্রামের কেরামত আলী (৬৫) পাশের গ্রামের আইয়ুব আলীর কাছ থেকে ২০২০
সালে কুজাপাড়া মৌজার ৩১৬,৩৬১ ও ৩৬৫ এই তিন দাগে মোট ১০কাটঅ জমি ক্রয় করেন।
ক্রয় করার পর থেকেই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে প্রভাবশালী প্রতিবেশী নওগাঁ কোর্টের
পেশকার হাফিজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর , সালেক, দেলোয়ার, কোর্টের উকিলের মোহরী
মেহেদী হাসান সুমন, ইউসুফ গংদের ।
তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ২০২৩ সালে ক্রয়কৃত
জমি থেকে লাঠি শোঠা দিয়ে পিটিয়ে বিতাড়িত করে কেরামত আলীকে। অর্থ ও শক্তিতে
না পেড়ে জমি থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথমে গ্রামে মাতব্বরদের কাছে নালিশ দেয় ভ্থক্তভোগী।
পর পর করেক দফা গ্রাম্য শালিশে রায় দেয়া হয় জমির বৈধ মালিক কেরামত আলী।
কিন্তু অর্থ ও পেশিশক্তির ভয়ে জমির মালিকানা পাচ্ছেন না তিনি। উপরোন্ত কেরামত আলীর
উপর ২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে কোর্টের উকিলের সহকারী (মোহরী) মো:
মেহেদী হাসান। মামলা নং-১১০সি/২০২৪ (নওগাঁ) ও ১৩৮/২০২৪(নওগাঁ)।
পরে কীর্তিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের শরনাপন্ন হন কেরামত আলী। চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে একত্রিত করে শালিশ করেন। শালিশে মৌখিক রায় দেন কৃষক কেরামত আলীর পক্ষে। কিন্ত সেই রায় অমান্য করে অবৈধভাবে জমি দখলে রেখেছে প্রভাবশালীরা।
অবশেষে থানায় অভিযোগ করলেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না ভ্থক্তভোগী গরিব
কৃষক। কুজাপাড়া গ্রামের মাতব্বর স্বপন জানান, কেরামত আলীর জমি নিয়ে আমরা গ্রামে একাধিকবার শালিশ করে দেখেছি, জমির বৈধ মালিক কেরামত আলী।
কিন্তু প্রভাবশালীরা জোড় করে মারধর করে জমি থেকে তাকে বিতাড়িত করেছে। আমরা বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। লোকটি জমি নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে।
এ ব্যাপারে কীর্তিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ডাবলু’কে ফোনে একাধিক বার চেষ্টা
করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নওগাঁ সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর রবিন্দ্রনাথ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি
অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং কাগজপত্র অনুসারে কৃষক কেরামত
আলীকে জমিটি বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও অপর পক্ষের অসহযোগিতার কারনে তা সম্ভব
হয়নি বলে জানান।