ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৪৫ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন থাকায় জনজীবন বিপাকে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে পৌরসভা শহর এলাকায় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিদ্যুত সংযোগ স্বাভাবিক ভাবে চলু হয়।
এছাড়া বোয়ালমারী ১১ টি ইউনিয়নের ২৫১ টি গ্রামের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ এখনো চালু হয়নি। এতে করে বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসী। বিদ্যুত না থাকার কারণে অটোভ্যান, ইজিবাইক চার্জ করতে না পেরে চালকরা চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছে। এমনকি ফ্রিজের মাছ-মাংশ খাবার দাবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ চার্জ নেই। ধীরেধীরে নেটওয়ার্ক টাওয়ার গুলোর কার্যকারিতা দূর্বল হয়ে পড়েছে।
উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের ভ্যান চালক মো. সোহাগ শেখ জানান, দুই দিন যাবত ঝড়ো বৃষ্টি ও বিদ্যুত না থাকার কারণে অটোভ্যান চার্জ দিতে পারিনি। এজন্য আর ভ্যান চালাতে পারছিনা। বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছি। তবে কিস্তি ও সংসারের খরচের জন্য মন ভালো নেই।
শ্রমিক শামীম শেখ বলেন, সৈয়দপুর গ্রামে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যুত অফিস থেকে লোক এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তারের উপরে বাঁশ থাকলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে পরিস্কার না করে চলে গেছে। বিদ্যুত অফিসের কর্মচারীদের অবহেলার কারণে সংযোগ সচল হয়নি।
ঘোষপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, বিদ্যুত না থাকায় ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রোববার বিকেলে ২ ঘন্টা বিদ্যুত ছিল। আবার চলে গিয়েছে।
গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৪৫ ঘন্টা বিদ্যুতবিহীনে প্রায় ৪ হাজার টাকার মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে গিয়েছে রোববার রাত ৯ টায় বিদ্যুত এসেছে।
বোয়ালমারী জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন জানান, ফরিদপুর গ্রিডের ১৩২ কেবি ৪টা ব্রেকার পুড়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ব্রেকার খুলনা- সাতক্ষীরা থেকে এনে মেরামত করা হয়েছে। রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় পৌরসভা এলাকার বেশ কিছু গ্রামে সংযোগ দেয়া হয়েছে। অনেক স্থানে সংযোগ দেয়ার পর বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ফিউজ পরে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাজ শেষ করে সংযোগ চালু করা হবে। আমাদের লাইন ম্যানরা মেরামতের কাজ করছে। কাজ শেষে উপজেলার সব জায়গা সংযোগ দেয়া হবে।