শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের এয়ারপোর্ট থানাপুলিশের অভিযানে অটো রিক্সা ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য আটক কেয়ার একাডেমির উদ্যোগে  ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান বোয়ালমারীতে মিফতাহুল জান্নাহ্ মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি ‘ওসির নির্দেশে’ ছেড়ে দেওয়ার হলো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন । চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়ের ধীরগতি, যাতয়াতে দূর্ভোগ, ভোগান্তি –মোজাম্মেল হক চৌধুরী গোপালগঞ্জে কাশিয়ানী ৫৬৩ কেজি পলিথিন জব্দ ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা! ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল মাইক্রোবাস বিজয় দিবসে গণকবরে মালা দেওয়ায়যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

গঙ্গাচড়ার পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
54.7kভিজিটর

রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি চন্দ্র সরকারকে পীরগঞ্জের শিবপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে তাকে বদলির কথা জানান গঙ্গাচড়া সহকারী কমিশনার ভুমি জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি ।গত ১০ সেপ্টেম্বর পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।জানা যায়,গঙ্গাচড়া ভুমি অফিসের পিয়ন পদে মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে ভূপতি চন্দ্র সরকার (৫০) কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি বাবার পৈত্রিক সম্পতি হিসেবে পেয়েছিলেন মাত্র ৪ শতক বসতবাড়ি। তার অন্য তিন ভাইও বাবার বসতবাড়ির সমান ভাগ পান। দুই ভাই মারা গেছেন। ভাইয়েরা এক শতকও জমি কিনতে না পারলেও ভূপতি সরকার কিনেছেন ৪ থেকে ৫ একর আবাদি জমি। গ্রামে নির্মাণ করেছেন বিলাস বহুল দু’টি বাড়ি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ৪ কোটি টাকায় কিনেছেন রংপুর নগরীতে সাত শতক এবং কোটি টাকায় গঙ্গাচড়া শহরে ৮ শতক জমি। তিনি শ্বশুর বাড়ি এলাকায়ও কিনেছেন নামে-বেনামে অবাদি জমি। আছে স্ত্রীর নামে ব্যাংক ব্যালেন্সও।স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সংসার ভূপতি চন্দ্র সরকারের ।বড় ছেলে শুভ চন্দ্র এসএসসি পাশ করে আর কলেজে ভর্তি হয়নি। দ্বিতীয় ছেলে সজিব চন্দ্র মহন্ত একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাস তৃতীয়বর্ষে অধ্যায়নরত। পিয়ন পদে এ সামান্য বেতনে চাকরি করে তাঁর এত সম্পদ অর্জন নিয়ে বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।তিনি গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পিয়ন পদেই কর্মরত ছিলেন।সেখানে সেবা নিতে আসা লোকজন তাকেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে চিনেন। তার চা, পান ও অফিস পরিস্কার রাখা কাজ হলেও তিনি অফিসিয়াল যাবতীয় কাজ করেন। জমির নামজারি করে দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও কারও জমির কাগজপত্রে ভেজাল থাকলে সেটি নিয়েও তিনি দেনদরবার করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।এছাড়াও ভূপতি চন্দ্র সরকার লন্ডন প্রবাসী আজিজুলের জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে উপজেলার পশ্চিম চেংমারী গ্রামের সুজন মিয়ার কাছ থেকে পাঁচ লাখ, মেরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৭৫ হাজার এবং মমতাজ বেগমের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন।এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর রংপুর,মাহমুদ হাসান মৃধা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x