গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যা ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-০২ আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা এমপি নাজমা আক্তার সহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ৫দিন পর নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
(মামলা নম্বর-২৪, তাং-১৭.০৯.২০২৪)।এই মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান,সাধারণ সম্পাদক জিএম সহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুখ খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখসহ ১১৭ জনের নাম রয়েছে।মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দন্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/৩০২/১০৯ ও ১১৪ ধারা উল্লেখ করে দায়ের করা মামলায় বাদী তার আর্জিতে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস,এম জিলানীর গাড়ি বহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এসএম জিলানির সাথে টুঙ্গিপাড়ায় যাবার পথে তার স্বামীর গাড়ী বহর সদর উপজেলার চরপাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোলপাম্পের সামনে পৌছালে,
একদল সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।এসময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামীরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়।এ ঘটনায় মামলা দায়েরের আগেই মোট ১২জনকে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলোঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের চৌধুরী বাকা মিয়ার ছেলে মোঃ আলীমুজ্জামান চৌধুরী,দক্ষিণ গোবরা গ্রামের ইঙ্গু শেখের ছেলে মোঃ সিরাজ শেখ, একই গ্রামের ছাত্তার মোল্লার ছেলে শিহাব মোল্লা,চরপাথালিয়া গ্রামের শফি উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোঃ আশরাফ মোল্লা ওরফে শের আলী মোল্লা, একই গ্রামের ইকরাম মোল্লার ছেলে বদর আলী মোল্লা ও নিয়ামত মোল্লা, উত্তর গোবরা গ্রামের হাজী ইদ্রিস আলী শিকদারের ছেলে মিজানুর রহমান লাভলু, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মোল্লা আজিজুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান,মৌপুরা গ্রামের এনায়েত হোসেন চৌধুরীর ছেলে জানিক চৌধুরী।
কুলিয়া গ্রামের ইকু মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা, সাফয়েত চৌধুরীর ছেলে আলি আমিন চৌধুরী।এদের মধ্যে প্রথম দুইজনকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর, তৃতীয়জনকে ১৫ সেপ্টেম্বর ও বাকী ৯জনকে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার ১৬ ও ১৭ সেপ্টেমর গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলঅ হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি)মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলা হওয়ার আগেই আমরা সন্দেহমূলক ভাবে ১২জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।এজাহারের মধ্যে এদের কারো নাম থাকলে তাকে এই মামলার আসামী হিসাবে গন্য করা হবে।এছাড়া যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।