ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িনোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২ টায় বোয়ালমারী পৌর সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক সঞ্জায় সাহার আবাসন প্রকল্পের অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাতৈর বাজারের পাশে গোরস্থানের কমিটি নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মারামারি হয়। তবে তাদের মারামারি বিষয়ে আমাদের নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম কিছু জানেননা। তাঁর পরেও বিএনএমএর সমর্থকেরা নেতার মানক্ষুন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ওই সার্থন্বেষী দলের লোকেরা বিএনপির সমর্থকের নেতাকর্মীদের নামে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এমনকি ১৯ সেপ্টেম্বর বিএনএমএর সমর্থকেরা আমাদের নেতার নামে নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামীলীগের ফ্যাসিস্ট সরকারে আমলে নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মী তিব্র নিন্দা জানাই। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যারা নিরাপদে বাড়িতে এসির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিল। তাদের ৫ আগস্টের পর ঘুম ভেঙেছে। এখন বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তারা দলের শত্রু দেশের শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করার সময় এসেছে। সেই সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবী জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায় সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, আমাদের নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের কারাগারে বন্ধী ছিল। ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নেতা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়। বর্তমান বিএনএমএর নেতারা সুর পাল্টে বড় বিএনপি সাজছে!। এরা বিএনপির ভেতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। শাহ মো. আবু জাফরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে বিএনপিকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে। এদেরকে নির্মূল করা হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপি সহসভাপতি খান আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য খন্দকার নাজিরুল ইসলাম, যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক জহুর ইকবাল পিন্টু ঠাকুর, ছাত্র দলের সদস্য সচিব বায়েজিদ খান রাব্বি যুবদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ হেলাল প্রমুখ।