ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন পত্রিকা,অনলাইন মিডিয়া ও ফেসবুকে অশালীন মিথ্যা ভিত্তিহীন,কাল্পনিকতথ্য ও প্রোপাগান্ডা প্রচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫ টায় আলফাডাঙ্গা বিএনপি অস্হায়ী কার্যলয় অফিসে এ সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি।
উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান মিয়া আহবানে ও পৌর বিএনপি আহ্বায়ক মো. রবিউল হক রিপনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. নুরজামাল খসরু বলেন, সাতৈর বাজারের পাশে গোরস্থানের কমিটি নিয়ে স্থানীয় দলাদলিতে টুটুল নামে একজন হামলার শিকার হয়।তাঁর পর আমাদের প্রতিপক্ষদল বিএনএমএর সমর্থকেরা নেতার(খন্দকার নাসিরুল ইসলাম) মান সম্মান ক্ষুন্ন করা ও দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।তারা এক সংবাদ সম্মেলনে যে কয়টি দফা উল্লেখ করে করেছে তা তাদের( বিএনএম) গায়ে আওয়ামী গন্ধ দূর করার চেষ্টা করছে।
আমাদের নেতা কখনো আওয়ামীলীগের সাথে রাজনীতি করে নাই বরং ঐ স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার তার নামে অসংখ্যা মামলা দিয়ে দেশে থাকতে দেয়নি। সৈয়দ হাবিবুরকে ও মারার বিষয়ে বিএনপি কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্হানীয় লোকজন তাকে মারলে ও মারতে পারে। তার নামেএকাধিক মাদক মামলা আছে। তবে তাদের মারামারি বিষয়ে আমাদের নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম কিছু জানেন না এবং তিনি লন্ডনে অবস্হান করছে। ওই সার্থন্বেষী দলের লোকেরা বিএনপির সমর্থকের নেতাকর্মীদের নামে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এমনকি ১৯ সেপ্টেম্বর বিএনএমএর সমর্থকেরা আমাদের নেতার নামে নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
এর বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামীলীগের ফ্যাসিস্ট সরকারে আমলে নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মী তীব্র নিন্দা জানাই। এখন বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তারা দলের শত্রু দেশের শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করার সময় এসেছে। সেই সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবী জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের কারাগারে বন্ধী ছিল। ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নেতা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়। বর্তমান বিএনএমএর নেতারা সুর পাল্টে বড় বিএনপি সাজছে!। এরা বিএনপির ভেতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। শাহ মো. আবু জাফরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে বিএনপিকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে। এদেরকে নির্মূল করা হবে।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মনির,যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ শিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম,পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইসরাফিল মোল্লা প্রমূখ।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ