ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইসলামী ব্যাংক শাখায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পৌরসভার চৌরাস্তায় ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের অফিস কক্ষে এ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মুহিত শেখ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় তিনি বলেন, উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভাটদী বাজার জামান ট্রেডার্সের নামে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট শাখা খোলে আখতারুজ্জামান। উক্ত এজেন্টের মালিক আখতারুজ্জামান গত ১৭ সেপ্টেম্বর বেশ কিছু গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে। পরে ওই গ্রাহককেরা বোয়ালমারী ইসলামী ব্যাংকের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আসলে আমাদের বোধগম্য হয়।
পরে জানা যায় এজেন্টের মালিক আখতারুজ্জামান গ্রাহককে নানা প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। তবে সে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্টের আউটলেট শাখায় কোন টাকা জমা দেননি। সে টাকা নিজের কাছে রেখে গ্রহককে তাঁর ব্যক্তিগত ইসলামী ব্যাংকের হিসাবের চেক দিয়ে দেয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যাংকিং সিস্টেমে হয়নি। সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি গ্রাহকের অধিকাংশ এজেন্টের কর্মচারীর আত্মীয় স্বজনেরা। গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানতে পারি, তাদেরকে উচ্চ হারে মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে বাড়িতে গিয়ে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের নিকট থেকে অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়। যাচাই বাছাই করে দেখা যায় যে, সম্পূর্ণ লেনদেন গুলো ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে সম্পাদিত হয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে এর আগে কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেননি। আমরা প্রতিটি এজেন্ট আউটলেটের দৃশ্যমান স্থানে 'লক্ষণীয়' শিরোনামে একটি ফেস্টুন টাঙিয়ে রাখি, যেখানে লেখা আছে,
লেনদেনের তথ্য এসএমএস এবং প্রিন্টেড রশিদের মাধ্যমে নিশ্চিত হোন। অর্থ উত্তোলনের সময় আঙুলের ছাপ দ্বারা লেনদেন নিশ্চিত করুন।
এজেন্ট কেন্দ্রের বাইরে কোন লেনদেন করবেন না। প্রয়োজনে ইসলামী ব্যাংক কন্ট্রাক্ট সেন্টারে ১৬২৫৯ নম্বরে ফোন করুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের নিকট জানতে চাওয়া হয়, কেন তারা শুধু একটি চলতি হিসাবের চেক নিয়ে এতগুলো টাকা প্রদান করলো। অথচ কোন ম্যাসেজ, প্রিন্টেড ভাউচার, হিসাব নাম্বার ও ফিক্সড ডিপোজিটের কোন অস্তিত্ব নেই। এ ব্যাপারে তারা নিজেদের সরলতার কথা তুলে ধরে বলে, তারা মূর্খ মানুষ। তাদের নিকট আরো জানতে চাওয়া হয়, একজন ব্যক্তির চেকের বিনিময়ে কিভাবে তারা তাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে দেয়।
যেখানে তারা নিজেরা না বুঝলেও তাদের পাশে একজন স্কুল শিক্ষক কিংবা জনপ্রতিনিধি অথবা ব্যাংকে এসে কনফার্ম হতে পারতো। এ প্রশ্নে তারা নিরোত্তর থাকে এবং তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে থাকে।
আমরা তাদের নিকট থেকে লিখিত আকারে সমস্ত অভিযোগসমূহ গ্রহণ করি এবং তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করবো। তাদের গৃহিত সমস্ত আইনী পদক্ষেপে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করি। আমাদের প্রধান কার্যালয় ঘটনাটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। বিধি অনুযায়ী প্রধান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ