শিরোনাম:
বোয়ালখালীতে ১৫০ লিটার মদসহ গ্রেপ্তার একজন গোপালগন্জের টুঙ্গিপাড়ায় শাখার কমিটি ঘোষণা ভিপি নুরের দলের নওগাঁয় সাম্প্রদায়িত সম্প্রতি ছাত্র-যুব-জনতা,ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা বরিশালের হিজলায় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাসচেতনতামূলক সভা আমতলীতে জমি দখলে নিতে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট। গঙ্গাচড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রশংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ বোয়ালমারীতে ডিফেন্স এক্স সোলজারস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা নওগাঁয় তৃণমূল সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বিশ্বম্ভরপুরে আগুনে পুড়ে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সোহেল আহমদ সাজু, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪
19.1kভিজিটর

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৭টি দোকানঘর আগুনে পুড়ে ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

এর মধ্যে ৫ টি দোকান সম্পূর্ণ আগুনে পুড়ে চাই হয়ে গেছে আর পাশের দুটি দোকানের মালামাল সড়াতে গিয়ে আরও লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশ বাজারের কাপড় পট্টিতে ঘটনাটি ঘটে। 

আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা না গেলেও বাজারে ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান পল্লি বিদ্যুতের সট্সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন,শাহ নেওয়াজ,গিয়াস উদ্দিনের দুটি কাপড়ের দোকান ও মোহাম্মদ শাহ আলম (আকাশ জুয়েলাস), ওমর বাবু (আপন স্বর্ণ শিল্পালয়), মোহাম্মদ ইদ্রিস আলীর (জাহিদুল স্বর্ণ শিল্পালয়) তিন স্বর্ণের দোকান। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাপড় ব্যবসায়ী বাচ্ছু মিয়া ও আবু হানিফ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে হঠাৎ করেই পলাশ বাজারের কাপড় পট্টির শাহ নেওয়াজ শাড়ী কাপড়ের দোকান ও গিয়াস উদ্দিনের শাড়ী কাপড়ের দোকান দোকানে ধোয়া দেখে চিৎকার দিলে বাজারের সবাই এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পাশাপাশি বিশ্বম্ভরপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারাও দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

শাহ নেওয়াজ ও গিয়াস উদ্দিনের দোকানের পাশে ব্যবসায়ী বাচ্ছু মিয়া ও আবু হানিফ জানান,আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত এসে আমার দোকানের মালামাল লোকজনকে নিয়ে সড়ানোর চেষ্টা করে রক্ষা পেয়েছি সময় মত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না আসলে আমার দোকান ও পুড়ে ছাই হয়ে যেতে এরপরও আমার লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত গিয়াস উদ্দিন জানান আমার সব শেষ একবারেই পথে বসে গেছি। ধারদেনা, এনজিও লোন ও জমি জমা বিক্রি করে এই কাপড়ের দোকান দিয়েছিলাম চোখের সামনেই সব শেষ হয়ে গেছে। কিছুই করতে পারলাম না।

ক্ষতিগ্রস্থ শাহ নেওয়াজ জানান, পলাশ বাজার মসজিদের টাকাও ছিল দোকানেই সব টাকা ও কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ৫ টি দোকান গুলোও আমার। আমি শেষ, কি করব বুঝতে পারছি না।

ক্ষতিগ্রস্থ স্বর্ণের দোকান মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, এক মাস ও হল না দোকান দিলাম এর মধ্যেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দোকানের সব মালামাল। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানিয়েছেন,ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি তবে ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার কারণ জানতে কাজ করছে তারা আমাকে জানাবে পরে জানতে পারব। আর ক্ষতি গ্রস্থদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x