ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ২৫ বছর বসবাসের পর নিজ ভিটা থেকে আবারো বিধবা নারীকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী নারী রাশেদা গং'র বিরুদ্ধে।
উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নে টিকর পাড়া গ্রামের মৃত হাসেন বিশ্বাস'র স্ত্রী কমেলা বেগম(৭০) পচিশ বছর ধরে ওই ভিটায় পাঁচ ছেলে পাঁচ মেয়েকে নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করে আসছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,সিএস এর মালিক মইজুদ্দিন শেখ ২২২ নং খতিয়ান, ৬১,১৮৭,১৮৮ নং দাগ,যাহা ৩৯,১৭,২২মোট ৭৮ শং।
এসএ মালিক আ. সামাদ এর বিরুদ্ধে মইজদ্দিনের ছেলে শফিউদ্দিন মামলা করে ১১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে জজ আদালত রায়ের ডিগ্রী পায়। ইছাহাক গং ১১৬২/৯৯ দলিল খরিদ মূলে ৭৮ শং এর মধ্যে ৭৫ শং ক্রয় করে।বাকী ৩ শং ওই শফিউদ্দিনের স্ত্রী বসবাস করছে।২০০৪ সালে বিএস মাঠ রেকর্ডে ইছাহাক গং'র নামে ১৬১ খতিয়ান, ১৬২,১৫৩ নং দাগে ৩৯ শং দখলীয় রেকর্ড এবং ৬১ নং দাগে ৩৯ শং নদীর চর তাদের ভোগ দখলে ।এরপর ভূমি অফিসে ২০১৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিষদ করেছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার হুমায়ুন মোল্যা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের প্রভাবশালী দুই সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও মেহরাফ আফরোজ চুমকি সাথে সখ্যতা থাকায় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা বলে মাঠ রেকর্ডে ভুয়া পর্চা বানায়। সেই পর্চার বদলে ২০১৫ সালে দলিল এবং ২০১৭ সালে আদালতে কৌশলে রায় নিয়েছে। অদ্যাবধি কোন দখল নেই।
ভুক্তভোগী ইছাহাক বিশাস বলেন,
রাশিদা গং ২০১৫ সালে ১৬১ নং খতিয়ান দাগ নং ১৫২,১৫৩ পর্চা ভুয়া বানিয়ে আলফাডাঙ্গা সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক কালাম ভেন্ডার, মুক্তার মাতুব্বর, হায়দার আলী যোগসাজশে দলিল করে নেয়।নিম্ন আদালত ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ওরা দলিল লেখক কালাম,আলী হায়দার ও দাতা মোক্তার মাতুব্বর তিন জন তিন মাস করে জেল খাটে। রাশিদা গং এর নামে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে।
এদিকে বুড়াইচ ইউনিয়ন প্যাডেহো চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওহাব মিয়া পান্নু ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪/৪২ স্বারক রাত ১০.৩০ মিনিটে চৌকিদারনো মিলনকে দিয়ে দুই দিনের মধ্যে উচ্ছেদের কাগজ দিয়েছে। তাতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের একটি বরাত দিয়া আছে এটি অসংগতি হওয়ায় স্বাক্ষর দেই নাই।
এদিকে রাসিদা বেগমকে ৫ অক্টোবর মুঠোফোন ০১৭৩৬-০৮৭৭৪৫ বারবার কল দিলে তার ভগিনা শাহিন বলেন খালা চোখ অপারেশন করবে এখন কথা বলতে পারবে না,পরে কথা বলায় দিবো।৮ অক্টোবর বারবার ফোন দিলে রিসিভ করেন নাই।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন,অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে ডেকে এনে কাগজপত্র দেখছি। আদালতে মামলা চলমান, রায় ও হয়েছে।চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা নির্দেশ দিয়েছি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ