চট্টগ্রামে রেড জোনে ৭ এলাকা ডেঙ্গু ভয়াবহ

এম মনির চৌধুরী রানা
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
18.3kভিজিটর

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় ৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ৫ এলাকাকে হলুদ, ৭ এলাকাকে নীল এবং ৪ এলাকাকে রাখা হয়েছে সবুজ জোনে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ঠিকানা হতে তৈরি করা চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এতে এক মাসের (সেপ্টেম্বর ১-৩০) ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক মাসে কোতোয়ালী এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬ জন, বাকলিয়ায় ১০৩, বায়েজিদে ৭৬, বন্দরে ৩৩, পাহাড়তলীতে ৩২, খুলশিতে ২৩ এবং চকবাজারে ২০ জন আক্রান্ত হয়ে রয়েছে রেডজোনের তালিকায়। এছাড়া পাঁচলাইশে ১৯, হালিশহরে ১৮, পতেঙ্গায় ১৫, চান্দগাঁওয়ে ১১ এবং ডবলমুরিংয়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব এলাকা রয়েছে হলুদ জোনে।

লালখানবাজার ৯, আগ্রাবাদ ৭, মুরাদপুর ৬, আকবরশাহ ৫, কাট্টলী ৫ জন, নাসিরাবাদ ৪ এবং দামপাড়ায় ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব এলাকাকে রাখা হয়েছে নীল জোনে। এছাড়া অক্সিজেন ৩, সিটিগেইট ২, চৌমুহনী ২ এবং সদরঘাটে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব এলাকা রয়েছে সবুজ জোনে। প্রতিবেদন আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরে সেপ্টেম্বর মাসে মোট ২৩ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৫।

এদের মধ্যে ৭৯ জন চট্টগ্রাম জেলার বাইরে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এদিকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। যার মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছের ১১ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, নারী ৬ জন ও শিশু ৫ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগর ও ১৫ উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৭ জন। এরমধ্যে নগরে ১ হাজার ১৫৩ জন এবং উপজেলায় ৭১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২২ জন, নারী ৫১২ জন ও শিশু ৩৩৩ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন, নারী ১০ জন ও শিশু ২ জন।

চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে লোহাগাড়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭৯ জন, সাতকানিয়ায় ৯৫ জন, বাঁশখালীতে ৪৫ জন, আনোয়ারায় ২৮ জন, চন্দনাইশে ৫২ জন, পটিয়ায় ৪১ জন, বোয়ালখালীতে ৩০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৩ জন, রাউজানে ৪৬ জন, ফটিকছড়িতে ২২ জন, হাটহাজারীতে ৩১ জন, সীতাকুণ্ডে ৬৮ জন, মিরসরাইয়ে ১৯ জন, সন্দ্বীপে ৯ জন এবং কর্ণফুলী উপজেলায় ২৬ জন।

মোট আক্রান্ত ৭১৪ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে আক্রান্তেের সংখ্যা ছিল ৬৯ জন। এদের মধ্যে নগরে নগরে ৩৬ জন, উপজেলায় ৩৩ জন। মৃতের সংখ্যা ২ জন। চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে ২৫ জন। এর মধ্যে নগরে ১৪, উপজেলায় ১১ জন। ওই মাসে কারো মৃত্যু হয়নি। মার্চে ২৮ জন। এর মধ্যে নগরে ১৫ জন, উপজেলায় ১৩ জন। মৃত্যু ১ জনের। এপ্রিলে ১৮ জন।

এর মধ্যে নগরে ১০ জন, উপজেলায় ৮ জন। মৃত্যু ছিল শূন্য।
গত মে মাসে ১৭ জন। এর মধ্যে নগরে ৮ জন, উপজেলায় ৯ জন। মৃত্যু হয়নি কারো। জুনে ৪১ জন। এর মধ্যে নগরে ২৪ জন, উপজেলায় ১৭ জন। মৃত্য শূন্য। জুলাইয়ে ১৯৮ জন। এর মধ্যে নগরে ৮৭, উপজেলায় ১১১ জন। মৃত্যু ১ জনের। আগস্টে ২০২ জন। এর মধ্যে নগরে ১২২, উপজেলায় ৮০ জন। মৃত্যু ১ জনের। সেপ্টেম্বরে ৯০৭ জন। এর মধ্যে নগরে ৫৮৫, উপজেলায় ৩২২ জন। মৃত্যু ১১ জনের। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৬২ জন। এর মধ্যে নগরে ২৫২, উপজেলায় ১১০ জন। মৃত্যু শূন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x