বিশ শতকের শুরু থেকেই সমাজসেবা ও ক্রীড়াঙ্গানে ব্যাপক আলোচিত নাম ছিল আহমেদ মোস্তফা নোমান। ২০০১ সালে মেমোরিয়াল ডোনার ক্লাবের মাধ্যমে জেলা শহর থেকে শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসুচি চলমান হয়। মাদকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করেছেন নিয়মিত। এছাড়াও শৈশব থেকেই তিনি দানবীর। ভ্রমণপিপাসু মানুষ হিসাবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।
মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিজ খরচে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করিয়েছেন শুধু দেশের গণ্ডি নয় দেশের বাইরেও তিনি ভ্রমণ করিয়েছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য নিজের হাতে গড়া দুটি প্রতিষ্ঠান করেছেন উন্মুক্ত। জেলার বিভিন্ন উপজেলার তরুণ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শৈশব থেকে বেড়ে উঠা দানবীর নোমান অসহায় ও নিরুপায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে সেবা দিয়েছেন বিনামূল্যে। ঔষুধ বিতরণ করেছে বিনামূল্যে। করোনাকালীন সময়ে তিনি নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে শত শত রোগী দেখেছেন৷ বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছেন শত শত রোগীকে। করোনাকালীন সময়ে কর্মবিমুখ মানুষ যখন আর্থিকভাবে দেউলিয়া তখন তিনি পাবনা জেলার সাত সহস্রাধিক মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
সংস্কৃতি মনা ডা. নোমান বিভিন্ন সময় সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে কবিতা উৎসব, বিতর্ক প্রতিযোগীতা, পাবনা জেলার জন্মদিনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিন প্রকাশে করেছে ব্যাপক সহায়তা।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে ইসলামি বিপ্লবে রয়েছে তার অবদান। শৈশব থেকেই ইসলামি সংস্কৃতির সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। তার নিজস্ব এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ইসলামী মাহফিল পরিচালনা করে আসছেন ডা. নোমান। স্বৈরাচার সরকারের সময় আজ্ঞাবহ প্রশাসনের হুলিয়া উপেক্ষা করে তিনি ইসলামী কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তার এলাকার ঐতিহ্যবাহী মসজিদ মাওলানা মহিউল ইসলাম জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
নিজের কষ্টার্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতিতে ব্যয় করেছেন। বিএনপির সুবিধাবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, গোপনীয় সহযোগীতা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বিদ্যামান। নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে মানবিক সহযোগীতা চলমান রয়েছে। দলের দুঃসময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমন উপলক্ষে তাদের সার্বিক আপ্যায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। দলীয় কর্মসুচিতে নিজের কস্ট অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তরুণ প্রজন্মের কাছে আধুনিক বিএনপির রোল মডেল হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন ডা: নোমান। তার দেখাদেখি তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি থেকে বিমুখ হওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাজনীতিমুখী হওয়ার, সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে ডা. নোমান রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচিত ও সমালোচিত।
সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত এলাকায় অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্রায় নয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। ফেনী কুমিল্লা লালমনিরহাট ও পটুয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পৌঁছেছে তার ত্রাণসামগ্রী।
পরিচ্ছন ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান বিশ শতকের প্রথমদিকে পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজ ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য, ২০১২ সালে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০১৩ সালে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’র অন্যতম সদস্য, ২০১৯ সালে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পাবনা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়। বর্তমানে তিনি পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত।