সেনাবাহিনীর ২১ পদাতিক বিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহার আল কবির খোকন বলেছেন, কিছু মহল দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজবে কর্ণপাত করা থেকে সাবধান থাকতে হবে। সবাইকে চলমান দূর্গা পূজার অনুষ্ঠান নিশ্চিন্তে ও স্বাচ্ছন্দে উদযাপন করতে হবে। গোপালগঞ্জের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষের জানমাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের নির্দেশক্রমে, গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১০ ইষ্ট বেংগল “ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার” এর আওতায় গত ২১ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অত্র ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি আসন্ন পূজা উপলক্ষে পূজা কমিটি, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির প্রশংসা করেন।
এর আগে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃংঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, গোপালগঞ্জ জেলঅ সদরের শ্রীশ্রী গনেশ পাগল সেবাশ্রম সার্বজনীন মন্দির, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালী মন্দির ও শ্রীশ্রী গনেশ পাগল কেন্দ্রীয় সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি মন্দির কমিটির সঙ্গে কথা বলেন এবং পূজা পালনে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষনিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
পরিদর্শনকালে ১০ ইবি এর অধিনায়ক ও গোপালগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মাকসুদুল আলম, মেজর মোঃ আকিকুর রহমান রুশাদ ও কর্তব্যরত অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাগণ সহ কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ রাসেদুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার, গোপালগঞ্জ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক মজিবুল হক, সদর থানা পরিদর্শক মীর মোঃ সাজেদুর রহমান সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।