শিরোনাম:
বোয়ালখালীতে সাপের কামড়ে ইস্কুল ছাত্রীর মৃত্যু বোয়ালখালীর বুড়া মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৫ লাখ টাকাএম মনির চৌধুরী রানা বোয়ালখালী গোপালগঞ্জ শহীদ রথীনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান সমাজ সেবা অফিস সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গায় কালবেলার ২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন  ফুটপাত দখলমুক্ত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অভিযোগের বোঝা নিয়ে উপ-উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে ড. ইয়াকুব আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হিজলায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত গোপালগঞ্জে বিশ্ব মান দিবস-২০২৪ পালিত

বোয়ালখালীতে মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি : নেই সংঘাত

এম মনির চৌধুরী রানা বোয়ালখালী
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
11.5kভিজিটর

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে স্বাধীনতার পর থেকে পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নামাজ ও শারদীয় দুর্গাপূজা। বোয়ালখালী সদরের কানুনগোপাড়া এলাকায় সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছে নামাজ ও পূজা। এবার ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। মসজিদের পাশেই মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। আজান ও নামাজের সময় বন্ধ থাকছে পূজার কার্যক্রম। উভয় ধর্মের লোকজন বলছে তারা দীর্ঘদিন ধরে সব সময় সম্প্রীতির সঙ্গেই নিজ নিজ ধর্মের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ যেন সকল ধর্মের সম্প্রীতির এক মেল বন্ধন।

সরেজমিনে শনিবার কানুনগোপাড়া বাস চালক সমিতি জামে মসজিদ ও শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ বাড়ি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, একসাথে মসজিদ-মন্দির, ব্যবধান শুধু একটি রাস্তার। মন্দিরে চলছে পূজা-অর্চনা। পূজারী ও দর্শনার্থীরা আসছেন প্রতিমা দেখতে এবং পূজায় অংশ নিতে। নির্ধারিত সময়ে আজান শুরুর আগেই থেমে যায় পূজার যাবতীয় কার্যক্রম। নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার বেজে উঠলো মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ উলুধ্বনি। শুরু হয় পূজার কার্যক্রম। নামাজি ও পূজারীরা জানান, এখানকার মানুষ শান্তি প্রিয়। কোনো দিন কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে।

সবাই সম্প্রীতির সঙ্গে পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে নিজ-নিজ ধর্মের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে কোনদিন কার ও কোন প্রকার সমস্যা বা ঝামেলা হয়নি। তাদের প্রত্যাশা যুগযুগ ধরে চলতে থাকবে এই সম্প্রীতি। পুজা দিতে আসা সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, এই পূজাটা অনেক আগের পুরোনো। এখানে পূজা উদযাপিত হচ্ছে, পাশেই মসজিদ আছে হিন্দু মুসলমান আমরা একত্রিত হয়ে পূজা উদযাপন করি। আমাদের অনেক ভালো লাগে ।

স্থানীয় দোকানদার মিন্টু দে,বলেন, আমি ১০ বছর ধরে এস মন্দিরে দুর্গাপূজা দেখতে এবং পূজার আনন্দ উপভোগ করতে আসছি। মুসলামানদের নামাজের সময় আমাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। নামাজ শেষে পুনরায় পূজার কার্যক্রম করা হচ্ছে। মন্দির কমিটি সাধারণ সম্পাদক রনি চৌধুরী বলেন, শৈশবকাল থেকে আমরা এখানে পূজা করছি। নামাজের সময়সূচি মেনে আমরা দুর্গাপূজা পালন করছি। নামাজের সময় আমার পূজার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তারাও আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকে।

মসজিদের লোকজন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। আমরাও তাদের সহযোগিতা করছি। তিনি আরও বলেন, মুসলিমরা ঈদের সময় মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। আমরা পূজার সময় সুন্দরভাবে পূজা করছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তারেক বলেন, ভ্রাতৃত্বপূর্ণভাবে আমরা যার যার ধর্ম পালন করছি। আমরা এখানে কোন ভেদাভেদ করি না কে হিন্দু বা মুসলমান।

বিপদে আপদে আমরা সব সময়ই তাদের সহযোগিতা করছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এটি যেনো নিদর্শন হয়ে থাকে, দেশের সমস্ত জায়গার মানুষ যেনো এভাবে চলতে পারে। এমন মূল্যবোধ ধারণ করলে পৃথিবীতে কোথাও অশান্তি হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x