স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের আয়োজনে শহরের কাজির পয়েন্টস্থ এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১২টি উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন আমরা স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তৃণমূলের উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সব সময় সাম্যের ভিত্তিতে স্ব স্ব পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। গত জুলাই ও আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মাঠে ছিলেন দাবী করে বলেন এই আন্দোলনে ফ্যাসিস স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়। যারা ফ্যাসিস সরকারের দোসর ছিলেন তারা পালিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে যাননি।
বরং তারা এই সরকারের সমস্ত দিক নির্দেশনা মেনেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো উল্লেখ করেন ছাত্রজনতার আন্দোলনে দ্বিতীয় দফা স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের প্রাপ্য সকল সরকারী সেবা তৃণমূলে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান এই অন্তবর্তীকালীন সরকার সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার যে চিন্তাভাবনা করছেন এতে ভেঙ্গে পড়তে পারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং সরকারের জনকল্যাণ মূলক উদ্যোগ।
ফলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার ফলে জাতীয় সনদ,জন্ম-নিবদ্ধন,মৃত্যু নিবদ্ধন,ওয়ারিশান সার্টিফিকেট,প্রত্যয়নপত্র,নাগরিকত্ব সনদপত্র,ট্রেড লাইন্সেস,বিভিন্ন ভাতাদি ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কার্ড পেতে ভোগান্তি বাড়তে পারে এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
অবিলম্বে এই ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে তৃণমূলের জনগনের মাঝে এই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে কিভাবে সেবার মান আরো বাড়ানো যায় সেইদিকে খেয়াল দিতে সরকারের নিকট দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন চেয়ারম্যানবৃন্দরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,লক্ষণশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ,রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা,পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জগলুল হায়দার,মোল্লাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন,পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীদার খোকন,আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান,রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ,জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ,করিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস,গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জগদল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন রশিদ,বাদাঘাট দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছবাব মিয়া,ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান তালুকদারসহ অনেকেই।