অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ও বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রি শুরু করেছেন বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন।আজ বিকেলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রয় কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে পৌর সদরের শহীদ মিনার চত্বরে সাড়ে ৩ হাজার ডিম বিক্রি করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গতকাল ১৪০ টাকা ডজন মূল্যে কানুনগোপাড়া মোড়ে ডিম বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা। এতে সাড়া পড়েছে ক্রেতাদের মাঝে।
উপজেলা সদরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানে ডিম নেই। এ বিষয়ে দোকানদার আরমান বলেন, ১৬০ টাকা দরে ডিমের ডজন কিনতে আগ্রহী নন ক্রেতারা। তাই ডিম রাখতে পারছি না। ডিম বিক্রেতা শাহীনুর জানান, ডিম তেমন বিক্রি নেই। মাঝে মাঝে দু’একজন ক্রেতা আসেন ডিমের জন্য। ডজন ১৫৫ টাকা কিনে ১৬০ টাকা বিক্রি করছি। এরমধ্যে দুই একটি ভেঙে গেলে বা নষ্ট পড়লে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়। সুলভ মূল্যে ডিম কিনতে আসা আবু তাহের বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ডিম নিই নাই।
বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ডিম বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে ডিম কিনছি। নাতি-নাতনিরা ডিম ছাড়া ভাত খেতে চান না। সাথে যদি সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি করতো তাহলে ভালো হতো। ইউএনও হিমাদ্রী খীসা বলেন, ডিম বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিমের পাশাপাশি পেঁয়াজ বিক্রিও শুরু করা হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যকে নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালে আনতে উপজেলা প্রশাসনের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।