চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানাধীন এলাকার হারবাতলী থেকে বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত কালীর ছড়া খালের শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। ২ দিনের উচ্ছেদ অভিযানে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে গরুর খামার, গুদাম, আবাসিক প্লটের সীমানা প্রাচীর, বসতঘর, শৌচাগার, দোকান, সেমি পাকা ও পাকা স্থাপনা।
অবৈধ ২৮টি বিদ্যুৎ সংযোগ, ৮টি পানির সংযোগও স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ২য় দিনের অভিযান শেষে জেলা প্রশাসন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সিএমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, পিডিবি, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাপা, বেলাসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় কালীর ছড়া খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়।
বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে পরিচালিত যৌথ অভিযানে সার্বিক সমন্বয় ও নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন অভিযানে একটি টিমকে নেতৃত্ব দেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযানের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদিউর রহিম জাদিদ। স্থানীয়দের অভিমত, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত দুই দিনের এ যৌথ অভিযানে সব স্টেক হোল্ডার সংস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণ পরিবেশ রক্ষায় স্থায়ী ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।