ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভাতিজার হাতুড়ির আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচি আনোয়ারা বেগম আল্লাদী (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আসামী ভাতিজা মহিদুল ব্যাপারীকে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেন থানার ওসি।
নিহত আনোয়ারা বেগম আল্লাদী (৫৫) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া গ্রামের মৃত নইমুদ্দিন ব্যাপারীর স্ত্রী। আসামী মহিদুল ইসলাম ব্যাপারী একই গ্রামের রোকন ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ২২।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিহত আল্লাদী ছাগল উঠাতে গেলে দেবরের ছেলে মহিদুল হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় ওই নিহত আল্লাদী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফরিদপুর রেফার্ড করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় রক্ত পড়া বন্ধ করে উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। মাথার খুলির হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে ঢাকা শ্যামলী হাসপাতালে চিকিৎসার একদিন পরে রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি মৃত্যুর বরণ করেন।
নিহতের বড় ছেলে নান্নু ব্যাপারী (৩০) বলেন, আমার মাকে চাচতো ভাই মহিদুল হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। তবে কেন তাকে আঘাত করলো আমরা কেউ জানিনা। আঘাতের কারণে মাথার খুলির হাড় ভেঙে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে। আমার চাচাতো ভাই মাদক সেবন করে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে গিয়েছে।
মহিদুলের মা মর্জিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে আমার উপর রেগে মারধর করে। এসময় আমার জা ঠেকাতে আসলে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তবে আমার ছেলে পাগল । অনেক আগে সে পাগল হয়ে যায়। এর আগে সে এমটি করেনি।
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসূল বলেন, ওই ছেলেটা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে রেগে গিয়ে তাঁর মাকে মারধর করে। এসময় তাঁর চাচি ঠেকাতে আসলে মাথায় হাতুড়ির আঘাত লেগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করেছি। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ