ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ১৮ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভা শাখার উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালের শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ শে অক্টোবর) উপজেলার পৌর এলাকায় বিকালে ৪টায় আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশে বারাসিয়া নদীর পাড়ে বিশাল
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৬ সালে ২৮ শে অক্টোবর এই দিনে এ দেশের রাজনীতি ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়। চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সমাবেশে এ থেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে লগি বইটা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিঠে হত্যা করা হয়।লগি বৈঠা লাঠিও বোমা হামলা চালিয়ে যেভাবে মানুষ খুন করা হয়েছে তা মনে হলে আজও শিহরে উঠতে হয়। রাজধানী প্রাণকেন্দ্রে সেদিন সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মেরে লাশের উপর নিত্য উল্লাস করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিল বিশ্বের অগণিত মানুষ।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ও পাশবিকতায় কেঁদেছে বাংলাদেশ, কেঁদেছে বিশ্ব মানবতা। জাতিসংঘের তৎকালে মহাসচিব থেকে শুরু করে সারা বিশ্বেও ওঠে প্রতিবাদের ঝড়।এটা শুধুমাত্র নিশংস হত্যাকান্ড নয়, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক পথ চলা ব্যাহত হয়, ঘটে ব্যক্ত হয় ব্যত্যয়।সর্বত্র বিচারহীনতায় সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার স্লোগান দেখা গেলেও এই নির্মম ঘটনার বিচার হতে দেখেনি বিদ্বেষবাসী।২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে ইতিহাসে মানবতাবিরোধী অপরাধে এক কলঙ্কজনক দিবস।
ঐদিন বিকাল তিনটায় বাইতুল মোকাররমে উত্তর সড়কে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ছিল।সকাল থেকেই সভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল।হঠাৎ করেই বেলা ১১ঃ০০ টার দিকে লগি বৈঠা ও অস্ত্রধারীরা জামাতের সমাবেশ স্হলে হামলা চালায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পল্টনের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে এবং নিরীহ জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেতে থাকে এবং অনেকেই নিহত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা শাখার জামায়াতপে আমীর মাও: মো. কামাল হোসাইন’র সভাপতিত্বে ও পৌর শাখার জামায়াত আমির প্রভাষক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম’র সন্ঞ্চালনায়।
প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি
অধ্যাপক আব্দুল ওহাব,
বিশেষ অতিথি বক্তব্য দেন,জেলা শাখা জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইমারত হোসেন চৌধুরী,শরিয়াতপুর জেলা জামায়াতে সেক্রেটারী মাওলানা মো. শাহাবুদ্দিন, নায়েবে আমির মাওলানা আবুল হাসান,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রিদওয়ানু ন্নবী,যুব সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, সহকারীর সেক্রেটারি মাওলানা নিজামুদ্দিন, পৌর আমির মো. ওহিদুজ্জামান, ওলামা সম্পাদক মাওলানা হুসাইন আহমেদ,ছাত্র সম্পাদক হাফেজ মুয়াজ, আরো বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ আলোচনা করেন।