ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার রোষানলে পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তার জন্য জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশ একটি বর্বর জাতিতে পরিনিত হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। শত শত নারীকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই সকল হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। শেখ হাসিনার মাথা পালিয়ে গেলেও বডি রয়েছে এই দেশে। তার সেই সব সাঙ্গপাঙ্গরা দেশে এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক।
বুধবার (৩০.১০.২৪) বিকেলে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তা পুরোন বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় কৃষকদলের আয়োজনে খুনি হাসিনার ফাঁসির দাবিতে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, আমাদের দলে একটা বেইমান ছিলেন। যার নাম শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। এই লোভি উচ্ছিষ্টভোগী নেতা বিএনপির সাথে বেইমানী করে রাতের আঁধারে কিংস পার্টি খুলে শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়ে ২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেন। ফরিদপুর-১ আসনে তিনি বিএনপি নেতা কর্মীদের ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই বেইমান নেতার ফাঁদে কোন বিএনপি নেতা কর্মী পা দিবেননা।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে এমপি নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বিচার করেছে সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে। ওই একই ট্রাইব্যুনালে এখন সত্য-সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করা হবে। যা পৃথিবীর সবাই জানবে। আশা করি, শেখ হাসিনার ফাঁসি হবে। কারণ দেশের শিশুরাও এই খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়।
বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নয়াবা ইউসুফ, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক এফএম কাইয়ুম জঙ্গি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর শেখ, আতাউর খান, মোঃ ইকরাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সঞ্জয় সাহা প্রমুখ। এছাড় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ