চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে এটি কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত।’ গতকাল নগরীর আগ্রাবাদ কলকাকলি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, মা ও শিশুর সুরক্ষায় নির্ধারিত টিকার পাশাপাশি ১০–১৪ বছর বয়সী কিশোরীদেরকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি ভ্যাকসিন দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে পুষ্টি বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
কলকাকলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমও ডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এসআইএমও ডা. এফএম জাহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার মি. খ্রিস্টফার খোইয়া। ওরিয়েন্টেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের অ্যাডেলেসেন্ট নিউট্রিশন ফ্যাসিলিটেটর আরিফুল মাওলা।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় গত ২৪ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয় জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৪। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে ও ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহযোগিতায় এ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।
শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৫ম–৯ম শ্রেণির ১০–১৪ বছর বয়সী কিশোরী ও স্কুল বহির্ভূত কমিউনিটির ১০–১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ব্যয়বহুল এইচপিভি টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এ ভ্যাকসিনে কোন ধরনের ঝুঁকি বা বন্ধ্যাত্ব হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ