বরগুনা আমতলী আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ দুই বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আওয়ামীলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার সকালে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মোঃ রাসেল মিয়া(৪১) পিতা মোঃ রহিম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত পিবিআইকে মামলা তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
অসামীরা হলেন, আমতলী উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা,আওয়ামীলীগের সদস্য খোকন মৃধা,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খান বাদলসহ ৩৩নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পরে আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজারে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন। অভিযোগ রয়েছে ঐ কার্যালয় উদ্বোধনের পর থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সদর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও তার ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা বিএনপি কার্যালয় হামলার পরিকল্পনা করেছে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম মৃধা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা ও সাবেক কাষ্টম কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের নির্দেশে হেলমেট পরিহিত ৪০/৫০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
ওই সময়ে ফকিরবাড়ী স্ট্যান্ড থেকে আসা সদর ইউনিয়ন যুবদল সদস্য খোকন হাওলাদার ও শ্রমিক দল সদস্য রাসেল হামলা ও ভাংচুরে বাঁধা দেয়। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্দ হয়ে খোকন হাওলাদারকে কুপিয়ে এবং রাসেলকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।পরে তাদের বহনকারী মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।এ ঘটনার মামলা হয়েছে বলে জানান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম ভিপি মামুন।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ভিপি মামুন আরো বলেন,হামলাকারীরা কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার টেবিল ভাঙচুরসহ দলীয় চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ছবি ভাঙচুর করে। তাঁর দাবি,মো.মোতাহার উদ্দিন মৃধা উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি ও মো.মজিবর রহমান পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির নেতৃত্বে ৪০-৪৫ জন এ হামলা ও ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।নেক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী ও জানান তিনি।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মোঃ মজিবর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে অপর অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা মোতাহার উদ্দিন মৃধা মুঠো ফোনে বলেন,নিজেরা অফিস ভাংচুর করে মামলা করার জন্য নাটক সাজিয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলা এখনও হাতে পাইনি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।