নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন ও খাজুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে দিনে-দুপুরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে প্রায় ২ বিঘা ফসলী জমির ফসল ও গাছপালা কেটে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার খাজুর ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত শহিদ আলী প্রামাণিকের ছেলে খাজুর ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাবু বাদী হয়ে আবুল হোসেন ও খায়রুল ইসলামসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ২৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ওয়ার্ড আ.লীগের সাবেক সভাপতি রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত কমর উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আবুল হোসেন, তার ভাই বাবুল হোসেন ও মিজানুর রহমান, মৃত রুস্তম আলী প্রামাণিকের ছেলে মামুনুর রশিদ
মৃত মোকলেছার রহমানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, কায়েম উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আঃ খালেক ও মাহবুবুর রহমান বাবু, মৃত ওমর আলী প্রামাণিকের ছেলে নওসাদ আলী, আতাউর রহমান পুতুল, আশরাফ আলী নেপাল, মৃত রোস্তম আলীর ছেলে আঃ হাই, মৃত কমর উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে মজিবর রহমান,
নওসাদ আলীর ছেলে মোস্তাক হোসেন, মাহবুবুর রহমান বাবুর ছেলে সুলতান মাহমুদ, বাবুল হোসেনের ছেলে তৌফিক আলম, জাহাঙ্গীর আলম বুলুর ছেলে শুভ, তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তানজিদ, শামির উদ্দীনসহ আরো অন্তত ২৬ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাসুয়া, রামদ, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠিসোঠা নিয়ে তান্ডব চালিয়ে তাদের সোয়া ২ বিঘা জমিতে রোপণকৃত ফলন্ত বেগুন ও অন্যান্য ফসলের সাথে লাগানো ১২০টি ব্যানানা ম্যাংগো আমের গাছ কেটে ফেলে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ছোট্ট থেকেই জাহাঙ্গীর আলমকে আমরা এই জমি গুলো চাষ করতে দেখতেছি। কিন্তু হঠাৎ ২১ তারিখের ঘটনা আমাদের গ্রামের শান্তি নষ্ট করেছে। আমরা চাই সবকিছু সমাধান হক আবার আমাদের গ্রামে শান্তি ফিরে আসুক।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম ভয়াল সুরে বলেন, এই জমিটা আমাদের ১০০ বছরেরো আগের পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু হঠাৎ আ.লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এই জমিটি দখল করার জন্য একাধিক বার এমন নির্মম ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছিলেন।
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ আমার ছোট্ট ছেলেকে জেলে পর্যন্ত তারা ঢুকিয়েছিল। তাদের প্রধান লক্ষ্য আমি ও আমার বড় ছেলে ডেন্টাল সার্জন ডা. সাদ্দাম হোসেন(বিডিএস,রামেক)।
তারা আমাদের একাধিকবার হত্যার হুমকিও দিয়েছে। গত ২১ তারিখের এই তান্ডবে আমার প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি বহুবার গ্রাম,থানা,আইনে তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সবকিছু সমাধান করতে চেয়েছি।
কিন্তু তারা কোথাও বসতে চাননা। যদি তারা আইনে জমি পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমি নিজে তাদের সবকিছু উঠায়ে দিবো। কিন্তু তারা ত সমাধান চায় না, চায় শুধু আমাদের জীবন। আমি চাই আমাদের শান্তি বজায় থাকুক। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো যাতে করে ২১ তারিখের এই নিষ্ঠুরতম কাজের সুষ্ঠু বিচার হয়।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।