ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১নং বুড়াইচ ইউনিয়ন বারাংকুলা গ্রামে ৪৭ নং বারাংকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে ইচ্ছা মতে ব্যক্তিগত কাজে ঘুরে বেড়ান এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) বারাংকুলা উচ বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন উপস্থিত নেই,এ সময় সহকারি শিক্ষিকাদের কাছে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর অবস্থান জানতে চাইলে তারা কথা বলতে সকলে অপারাগতা প্রকাশ করেন।তবে তার (রুহুল আমিন) স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা রাশিদা খানম বলেন তিনি বাজারে গিয়েছে। এর আগে গত ২দিন সংবাদ কর্মীরা এসে ঐ প্রধান শিক্ষক কে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিদা খানম সাংবাদিকদের বলেন, গত কাল অফিসের কাজে আলফাডাঙ্গা উপজেলাতে ছিল।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করলে ও তার সাথে সাক্ষাৎ মেলেনি। তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে ফোন দিলে প্রতিবেদক বলেন, আমি অফিসের কাজে বাহিরে আছি এবং যাই, বিদ্যালয়ের বাহিরে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অনুমতি নিতে হবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি বলেন ,অনুমতি লাগবে তবে আমরা কোন প্রধান শিক্ষকই অনুমতি নেই না। যদি দীর্ঘ দিন বাহিরে থাকা লাগে সে ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয়।
প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন’র অনুপস্থিতির বিষয়ে কোন প্রকার অনুমতি নিয়েছে কি না বা বিদ্যালয়ের বাহিরে যেতে হলে অনুমতি লাগবে কি না এ বিষয়ে সহকারি শিক্ষা অফিসার সরোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর কার্যালয়ে বিকাল ৩.৩০মিনিটে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, বিদ্যালয়ের বাহিরে যেতে হলে অনুমতি নিয়ে যেতে হবে, রুহুল আমিন কোন প্রকার অনুমতি আমার কাছ থেকে নেয়নি। এর আগে এমন ধরনের কাজ করেছে কি না আমার জানা নেই, এখন জানলাম এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।