রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক :
গঙ্গাচড়ায় গণহত্যা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হানাদার বাহিনীর বুলেটে নিহত হন ২২ জন।তবে ৫৩ বছরেও তাদের স্মরণে গড়ে ওঠেনি কোনো স্মৃতিসৌধ।
ইতিহাসের পাতায় তাদের নামও আসেনি।দিবসটি পালনে ‘চলো হাসি ছড়াই’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তিযুদ্ধে ২২ শহীদের স্মরণে আজ শুক্রবার শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোকচিত্র প্রদর্শনসহ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। শহীদ পরিবারের সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন অনুষ্ঠানে।
দিবসটির স্বীকৃতি দাবি করেছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত ২২ জনের মধ্যে অনেকের স্ত্রী, সন্তানসহ স্বজনরা দিনমজুরি, রিকশাভ্যান চালিয়ে কিংবা অন্যের সহযোগিতায় জীবনযাপন করছেন। বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও ফল পাননি তারা। স্বাধীনতার পর এত বছর পার হলেও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
নিহত সহিদার রহমানের দুই ছেলে মনাহার ও মহুব আলী তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধের গান্নারপাড় এলাকায় আশ্রয় নিয়ে দিনমজুরি করেন।সে দিনের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তারা। মহুব আলী বলেন, ‘লোকজন ছিল না। আমি একাই বাবার বুলেটবিদ্ধ লাশ ঘাড়ে করে নিয়ে যাই বাড়িতে। কেউ আমাদের সান্ত্বনা দিতেও আসেনি।
দেশ স্বাধীনের পর পরিবারগুলোকে সহায়তা করেনি কেউ।’অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গঙ্গাচড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আল এমরান , বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল্লাহ, ওয়ারেছ আলী, গঙ্গাচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজু মিয়া লাল, শহীদ পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দসহ অনেকেই।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগ জাতির জন্য অমূল্য। তাদের পরিবারের জন্য যথাযথ স্বীকৃতি এবং সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব আমাদের।আমরা তা নিশ্চিত করব।