আমতলীতে মিথ্যা হয়রানি মূলক আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আমতলী আলেম সমাজ। মানববন্ধনে দাড়িয়ে ভুক্তভোগীদের দাবী বিষপানের পর সঠিক চিকিৎসার অভাবে ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শেদ তন্ময় মোল্লার মৃত্যু হয়। এঘটনায় একটি মহল সুবিধা নিতে শহরের ব্যবসায়ী সহ তন্ময়ের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া জান্নাত মিম ও তার পরিবারের স্বজনের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শেদ তন্ময় মোল্লার সঙ্গে ফারিয়া জান্নাতির সঙ্গে পারিবারিক ও পরকীয়া প্রেম জনিত দ্বন্দ্বে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গোপনে তালাক প্রদান করে তন্ময়। এঘটনায় মিম যৌতুকের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পরবর্তীতে উভয় পরিবার সমঝোতা হয়ে তন্ময়কে ২৭ নভেম্বর জেল থেকে বের করে। জেল থেকে বের হয়েই ঐ দিন সন্ধ্যায় পুনরায় মিমকে তালাক প্রদান করে তন্ময় মোল্লা।
এ প্রেক্ষিতে উভয়ের আইনজীবীর উপস্থিতিতে শালিস বৈঠকে দেনমোহর খোরপোশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেখানে তন্ময়ের ব্যবসায়িক ব্যাংক ঋণ থেকে স্ত্রী মিমকে দায়মুক্ত পত্র দেয়ার কথার হয় এবং ৮ ডিসেম্বর এটি নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দাখিল করার কথা বলা হয়। এঘটনা চলমান থাকা অবস্থায় গত ২৯ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তন্ময় তার সাবেক স্ত্রী মিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে আত্মহত্যার উদ্দেশ্য রাত চারটায় বিষপান করে। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এঘটনায় তন্ময় মোল্লার বোন আইনজীবী তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে আমতলী জুডিশিয়াল আদালতে গত ৫ ডিসেম্বর আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে দাবী করে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ করেন। মামলায় সাবেক স্ত্রী মিম সহ পরিবারের ১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আসামি মাওলানা খালিদ হাসানের গ্রেপ্তার করা ও আসামি করা নিয়ে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা বলেন, মাওলানা খালিদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি এঘটনায় জড়িত ছিল না। তাকে এই মামলায় উদ্দেশ্য মূলক জড়ানো হয়েছে। তারা মাওলানা খালিদ সহ সকল আসামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রত্যাহার দাবী করেন।