বন্দর থানার চন্দ্রমহনের অটোরিক্সা চালক খুবই দরিদ্র পরিবার সুমনের সন্তান সাফিন(১৭), জীবিকার তাগিদে ১৯ই ডিসেম্বর রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে সোহাগ পরিবহন কাউন্টারের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতেছিল।
২ জন অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারী ১০০ টাকা ভাড়া চুক্তি করে তার অটোরিক্সায় উঠে গুঠিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে ছিনতাইকারী অটোরিক্সা চালককে ০২ টি চিয়ারআপ (কোল্ড ডিংস) খাওয়ায়।
ছিনতাইকারীদ্বয় অটোরিক্সার ড্রাইভারকে নিয়ে রাত অনুমন ০৮.৩০ ঘটিকায় চন্দ্রপাড়া গ্রামস্থ রানীর স্কুলের গেইটের সামনে নির্জন স্থানে পৌছিয়া ছিনতাইকারীদ্বয় অটোরিক্সা থামিয়ে একটি চাকু বের করে হত্যার ভয় দেখাইয়া চালক সাফিনের সারা দিনের উপার্জিত ৪৯০ টাকা নিয়ে যায়। সে বাধা প্রদান করলে তাকে মারধর করে ভিকটিমের পরিহিত জ্যাকেট দিয়ে মুখ বেধে রাস্তার পার্শ্বে রেখে অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ভ্যাগ্যক্রমে বিপরীত থেকে আসা একজন ভ্যান চালক বুঝতে পেরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ উক্ত এলাকার জনসাধারনের সহায়তায় ছিনতাইকারী ১। নাঈম হাওলাদার(২১), পিতা- নাসির উদ্দিন হাওলাদার, সাং- দিয়াতলী, থানা- বাকেরগঞ্জ, বরিশাল, ২। আল আরাফাত ইয়াছিন(২০), পিতা- খলিল হাওলাদার, সাং- শিতালপাড়া, থানা- নলছিটি, জেলা- ঝালকাঠীদ্বয়কে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত হতে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাটি এবং ৪৯০ টাকা উদ্ধার করে। আসামীদ্বয় ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িত থাকার বিষয়ে ইং ২০/১২/২০২৪ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।