চট্টগ্রামে নতুন বছরের ১ম দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও সব পাঠ্যবই একসঙ্গে কেউ পায়নি। সরবরাহ করা হয়েছে প্রথম থেকে ৩য় শ্রেণির পাঠ্যবই। কেউ পেয়েছে একটি। কেউবা দুটি। আবার কিছু স্কুলে বই একটিও পায়নি এমন শিক্ষার্থীও আছে। গতকাল বুধবার থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু। রেওয়াজ অনুযায়ী বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই উৎসব করা হলেও এবার তা হয়নি। তাই শিক্ষার্থীদের মন খারাপ।
তবে কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই গতকাল বুধবার নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিকের কয়েকটি শ্রেণির বই সরবরাহ করা হয়েছে চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে। বেশ কিছু স্কুলে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলে স্কুলে এবার বই উৎসবের সেই আনন্দ নেই। ছোট্ট সোনামণিদের বছরের প্রথম দিনটা ছিল যেন মন খারাপের।
সব পাঠ্যবই একসঙ্গে পায়নি সবাই। কেউ পেয়েছে একটি। কেউবা দুটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ জানুয়ারি শুরু হবে। এরপর থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ধীরে ধীরে সরবরাহ করা হবে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। আর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের সব বই বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানায়, চট্টগ্রামের ৬ থানা শিক্ষা অফিস ও সব উপজেলা মিলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ জন।
আর এবার নতুন বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ কপি। এর মধ্যে বছরের প্রথমদিন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই পৌঁছে দেওয়া হয়। যদিও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অন্তত বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বই না আসায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘নগরের সব স্কুলগুলোতে আমরা যে বইগুলো এসেছে তা পাঠিয়ে দিয়েছি।
সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই না পেলেও প্রথমদিনে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। শুধু ফটিকছড়ি উপজেলা ছাড়া সব স্কুলে বই চলে গেছে। সব বই না পেলেও প্রথমদিনে একটি বই হলেও পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।