চট্টগ্রামে ব্যস্ততম এলাকা চকবাজার কাঁচাবাজারকে ঘিরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা ৬৮ জনকে পুনর্বাসন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চসিক। ফুটপাত দখলকারী এসব ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করায় গুরুত্বপূর্ণ চকবাজারসংলগ্ন সড়কগুলোতে যানজট হ্রাস পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পথচারীরা সুযোগ পাবেন ফুটপাতে হাঁটার।গতকাল এ পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এ সময় তিনি চকবাজার কাঁচাবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। ক্রমান্বয়ে মার্কেটটির বাকি কাজ সম্পন্ন করে আরো ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মেয়র।
এ সময় মেয়র বলেন, চকবাজার আমার নিজের এলাকা। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন এখানে কেটেছে। এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী কাঁচাবাজার দীর্ঘদিনের পুরনো। রাস্তা ছোট হলেও আগে যানজট তেমন হতো না। তবে এখন রাস্তা বড় হওয়ার পরও যানজট বেড়ে গেছে। অবৈধভাবে রাস্তা ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে।
জনগণের ভোটকে উপেক্ষা করে যারা কমিশনার বা মেয়র হয়েছেন, তারা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের প্রাধান্য দিয়েছেন। এর ফলে চকবাজার কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা জোরপূর্বক চাঁদার শিকার হয়েছেন এবং এলাকায় বিশৃঙ্খলা বেড়েছে। এই বিশৃঙ্খলা এলাকায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, আমরা রাস্তা ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করা ৬৮ জন হকারকে সরিয়ে তাদের এ মার্কেটে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছি।
এতে অনেকদিন পরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকাবাসী এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন। বাজার ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার হয়েছে এবং এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। জনগণের সহায়তায় এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা এই পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মেয়র পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পর্কে বলেন, এলাকায় ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে।
বর্ষার আগে নালা পরিষ্কার, ম্যানহোল ঢাকনার সুরক্ষা এবং প্লাস্টিক বা পলিথিন নালায় ফেলা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম মনিটর করতে দুজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এলাকাকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ শহরে পরিণত করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সবুজায়নের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে একটি সুন্দর শহর উপহার দেয়া হবে।