শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের বোয়ালখালীতে অস্ত্রের ধরে জিম্মি করে গরু লুট বোয়ালখালী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ছে তিন ঘর গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়া শিক্ষার্থীদের শীতবস্ত্র বিতরণ নওগাঁয় এফএনবির উদ্যোগে দুস্থদের  মাঝে কম্বল  বিতরণ বরিশালে স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে স্বামীর থেকে তালাক প্রাপ্ত হওয়া স্ত্রীস্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের প্রতিক্ষার প্রহর শেষ বোয়ালখালী থামছে কক্সবাজারগামী ট্রেন চট্টগ্রামে সারোয়াতলীতে ২৫০ একর জমিতে বোরো আবাদে অনিহা কৃষকদের বিডিআর বিদ্রোহের হত্যাকান্ডের নেপথ্যে নায়কদের চিহিৃত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গা নির্বাহী অফিসার’র বাসভবনের বিপরীত পাশে দিনের বেলায় চুরি

বরিশালে স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে স্বামীর থেকে তালাক প্রাপ্ত হওয়া স্ত্রীস্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
বরিশালে স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে স্বামীর থেকে তালাক প্রাপ্ত হওয়া স্ত্রীস্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের
4.8kভিজিটর


বরিশালে স্ত্রীর পরকীয়ায় কারনে স্বামীর সংসারে অনীহা দেখা দেয় স্বামীর তালাকে স্ত্রী মোসাম্মৎ তানিজিলা আক্তারের স্বামীর পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

বরিশাল সদর উপজেলায় খানপুরা বন্দর থানার মোসাম্মৎ তানজিলা আক্তার (৩০) এর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ী স্বামীকে প্রধান আসামি করে তার পরিবারের আরো ৪ জনকে আসামী করে ৫ জনের নামে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতনের দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০০৩)এর ১১(গ)/৩০ তৎসহ দন্ডবিধির ৩১৩ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায় বরিশালের সদর উপজেলার হান্নান হাওলাদারের ছেলে কবির হোসেন হাওলাদারের সাথে পারিবারিক ভাবে ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তাদের বিয়ে হয়।কয়েকদিন পর কবির হোসেন হাওলাদার দেখতে পায় তার স্ত্রী তানজিলা সংসারের প্রতি আগ্রহ নেই প্রতিনিয়ত দিনরাত মোবাইল ফোনে কথা বলে ব্যস্ত থাকে।

কবির তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে তার স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয় জানান তাতে কোন কর্নপাত না করে মেয়েকে প্রশ্রয় দিতে থাকে কবিরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।এতেই পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে।

এ বিষয়ে মামলার আসামী কবির হোসেন হাওলাদার সাংবাদিককে জানান সংসার সুখেই চলে আসছিল তাদের বিবাহিত জীবনে।

অদৃষ্টের নির্মম পরিহাসে গত দেড় বছর ধরে তানজিলার সংসারের প্রতি অমনযোগী হয়ে স্বামী প্রতি অবহেলা ও স্বামীর প্রতি রূঢ় আচরণ করে আসছিল। যা মোটেই কাম্য নহে। গুরুতর অভিযোগ গত কয়েক মাস ধরে তানজিলা গভীর রাতে কে বা কার সঙ্গে কথা বলছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে মোবাইলে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে প্রেমালাপ করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলি।
সে প্রতিনিয়ত মোবাইলে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পরলে আমি তাতে বাঁধা দেই।তাকে আমি আমার বরিশালের বাসায় পাঠিয়ে দেই সেখানে এসেও সে মোবাইলে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পরে।আমার ও আমার পরিবারের কথায় কর্নপাত না করলে আমি তার বাবা ও পরিবারকে জানালে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একাধিক বার মীমাংসা বসে সমাধানের চেষ্টা করে তবে স্থানীয় ভাবে সালিশে কোন কর্নপাত না করে তার পরকীয়া চালিয়ে যান।

আমি আমার কর্মস্থান গাজীপুরে থাকার কারনে সে প্রতিনিয়ত তার পরকীয় প্রমিকের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছে।এ বিষয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে মীমাংসার কথা বললেও তারা মিমাংসা না করে ৯জুন ২০২৪ সালে সকালে আমার বাসা থেকে বিয়েতে দেওয়া কয়েক ভরি স্বর্ন নগদ টাকাসহ সকল প্রকার মামামাল নিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।আমি স্থানীয় ইউপি মেম্বাদের নিয়ে তাকে আমার বাসায় আনার জন্য চেষ্টা করলে ব্যর্থ হই।তার বাবা আমাকে দেখিয়ে দেবার হুমকি দেয়।এখন আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।

আমি ১৫ডিসেম্বর সরকারী বিধি মোতাবেক তালাক প্রদান করিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জানুয়ারি মিথ্যা মারধর দেখিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০২৫ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা মামলা করে।আমি চাকুরীর সুবাধে গাজিপুর অবস্থান করিলে আমাকে আসামী করে মামলা দ্বায়ের করে।মামলার আসামী আমি প্রসাশনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি।তাহলে মামলার সকল বিষয়ে মিথ্যা প্রমাণ হবে।

মামলার বিষয়ে জানতে বাদী মোসাম্মৎ তানজিলা আক্তার বলেন আমি কারো সাথে পরকীয়া করি না।আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। আমাকে মারধর করা হয়েছে তাই আমি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আপনার স্বামী তো গাজীপুর থাকে তাহলে আপনাকে এসে কেমনে মারলো তখন তিনি বলেন কবির এসে মেরে সকালে চলে গেছেন। আপনি তো কোন প্রেগনেন্সি নন তাহলে অবৈধ গর্ভপাতের কথা কেন বললেন মামলার বিতর তখন তিনি বলেন আমাকে মাইকদের করেছে তাই বলেছি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান একটি প্রত্যয়ন দিয়েছে ওই মহিলা ৮ মাস পূর্বে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে তারপর আর তার স্বামীর সাথে দেখা হয়নি তাহলে মামলায় বর্ণিত অবৈধ গর্ভপাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

উক্ত মামলার সাক্ষী স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগমকে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x