বরিশাল নগরীর প্রশাসন জিমিয়ে পড়ায় আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যাবসা।গত ৫ই আগস্ট এর পরে প্রশাসনের তৎপরতা কমে যাওয়ায় বরিশাল নগরির আবাসিক হোটেল গুলোতে অবাধে চলছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসার হাট। এই ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড এভাবে প্রকাশ্যে চলতে থাকলে বরিশাল নগরীর যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে চলে যাবে বলে অভিযোগ করেন একাধিক সচেতন নাগরিক মহল।
বর্তমান সমাজে পতিতা ও মাদক ব্যবসা এক ধরনের নেশা ও পেশায় রুপ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবাসিক হোটেল গুলোতে দেহ ও মাদক ব্যবসার রমরমা বানিজ্য গড়ে তুলেছেন একটি মহল প্রশাসনের নাকের ডগায়।
অনেকেই অভিযোগ করে বলেন থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলেও থামছেনা দেহ ও মাদক বানিজ্য।
পতিতা ও মাদক ব্যাবসাইদের মুল হোতা ও সেল্টার দাতা হলেন কুমিল্লা হোটেলের মোস্তাকুজ্জামান বাবু এই বাবু অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে নগরীতে পূর্ব পরিচিত।বাব নগরীর বেশিরভাগ হোটেলের দেহ ও মাদক ব্যবসার সেল্টার দিয়ে থাকে। গোপন সূত্রে জানা যায় মোস্তাকুজ্জামান বাবু আবার নামধারী দুই একটি পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করেন যাহা দুঃখজনক।
তবে অনেকেই বলেন হয়তোবা পত্রিকার মালিক রা তার এই অনৈতিক কর্মকান্ড জানেন না। বাবু তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড অবাধে চালিয়ে যাওয়ার জন্যই সেন্টার হিসেবে পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করেন।
স্কুল,কলেজর ছাএীদের জোরপূর্বক ভাবে আটকেয়ে রাখিয়া পতিতা ব্যাবসা করিয়া আসছেন নগরীর মহসিন মার্কেট ফায়ার সার্ভিস অফিসের বিপরিদে হোটেল ভোলা, ঝিঁনুক আবাসিক ভাড়াটিয়া মালিক আজিজুর রহমান আজিজ, হোটেল চীল আবাসিক ভাড়াটিয়া মালিক আলামিন নগরীর চকবাজার হোটেল গালীব আবাসিক ও ফকির চাঁন বেকারীর দক্ষিন পাশের গলির ভিতরে হোটেল পাতার হাট আবাসিক ভাড়াটিয়া মালিক মনির পোট রোড় ব্রিজের ওপর হোটেল সিভিও আবাসিক,হোটেল পপুলা আবাসিক ভাড়াটিয়া মালিক জসিম এবং ফয়সাল পাশা পাশি হোটেল অতিথী আবাসিক ম্যানেজার নাজেম ও লঞ্চ ঘাটের হোটেল শিকদার, লাইন রোডের হোটেল নুপুর, কাঠপট্টির হোটেল নুপুর সহ একাধিক এই পতিতা ব্যাবসাইরা বরিশাল নগরীরতে আবাসিক এই হোটেল গুলোতে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে।
হরদমে চালচ্ছেন দেহ ও মাদক ব্যাবসা হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট হচ্ছেন তরুন যুবসমাজ পতিতা ব্যাবসার কারনে নগরীর ওয়ার্ডসহ নগর, মহানগর, জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বারছে চুরি, ছিনতাই নীরব রয়েছেন প্রশাসন।
প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এধরনের কর্মকান্ড ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছেন পতিতা সমরাজ্যের মালিকরা।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ই আগস্ট এর পূর্বে জরুরি ব্যাবস্থা নেওয়া হলেও এখন কোন তৎপরতা নেই।তাই এই অবৈধ ব্যবসায়ীরা ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকছে নিরাপদে।
৫ ই আগস্টের পূর্বে দেখা যেত এই পতিতাতলয়ের মালিকরা প্রশাসনের ব্যাবস্থা নিলেও দুই চার ঘন্টা পরেই আবারো ফের শুরু করে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যাবসা।বর্তমানে কোন ব্যবস্থা না নেওয়াতে কোন মতেই আইন কে পরোয়া না করেই, হরদমে চালাচ্ছেন এই দেহ ও মাদক ব্যাবসা।
জনসাধারণ ও নগর বাসি একাধিক সুত্র জানিয়েছেন, রাস্তায় টহলে থাকা কোতয়ালী মডেল থানার অনেক অফিসারদের জানিয়েছি কিন্তু বিষয়টি তারা দেখেও না দেখার ভাব করে এড়িয়ে যাচ্ছে। যদিও অভিযোগ পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে।
গোপন সুত্রে জানা যায় দিনে কিংবা গভীর রাতে নগরীর আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রকাশে দেহব্যবসা। এই অবৈধ সমাজ,জাতী,ওধর্ম বিরোধী দেহ ব্যাবসায় এতে চুরি,ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবনতা বৃদ্বি পাচ্ছে দিন দিন।
এমনকি নগরীর পোটরোর্ড চকবাজার সহ বিভিন্ন স্পটে চলে প্রতিদিন রমরমা দেহ বানিজ্য। এতে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনী ছাত্র ও যুব সমাজের মেধা ও নৈতিক চরিত্র ধংশ হচ্ছে।
এইভাবে আমাদের দেহ মাদক ব্যবসা চলতে থাকলে নগরীর যুব সমাজ একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।
নগরীর নেটিজেনরা মনে করেন খুব দ্রুত যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে এই নেশা থেকে সড়িয়ে আনতে প্রশাসনের কঠোর নজর দেয়া দরকার। আর এতে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে সমাজ একেবারে দূষিত হয়ে যাবে বেড়ে যাবে চুরির ছিনতাই রাহাজানি সহ নানান অপকর্ম।
নগরীর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বলেন নগরীর বিভিন্ন স্থানে নাকি দেহ ব্যাবসা চলে, তাই ছাত্রদের এই নেশা থেকে সড়িয়ে আনতে অভিবাবকদের সতর্ক থাকা দরকার। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কঠোর ব্যাবস্হা নেয়া হয় তবে বন্ধ হতে পারে এই অসামাজিক কর্মকান্ড।আর না হলে ছাত্ররাও তাদের লেখাপড়া থেকে দূরে সরে যাবে।
নগরীর সচেতনমহল বলেন যেইসব আবাসিক হোটেলে দেহ ও মাদক ব্যাবসা চলে, সেইসব বন্ধ করে দিলে এসব অপরাধ প্রবনতা হ্রাস পাবে।
উপরোক্ত বিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আপনাদের মাধ্যমে সংবাদ পেলাম খুব দ্রুতই এই অপকর্মের বিরুদ্ধে জোরেসোরে ব্যবস্থা নিব।
উপরোক্ত ব্যাপারে ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে ফোন করলে তিনি মুঠফোনে আলাপ কালে জানান আমরা খুব দ্রুতই দেহ ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন আপনারা জানেন মাদকের ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সহ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সব সময়ই সোচ্চার আছে এ বিষয়ে আমরা কারো সাথে কোন ধরনের আপোষ করব না।