রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ঠাকুরাদহ থেকে চৌধুরীরহাট গামী সরকারি পাকা রাস্তা কেটে সেচ পাইপ স্থাপনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,আগে থেকেই যেখানে বিএডিসি অনুমোদিত সেচের ব্যবস্থা আছে , সেখানে নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পাকা রাস্তা কেটে পাইপ বসানো সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে এবং সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে গন স্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তাটি কেটে ফেলার কারণে ভারি যানবাহন চলাচলে যেকোন সময় রাস্তাটি ভেঙ্গে পরতে পারে বলে। রাস্তা কেটে ফেলার পর আমাদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হবে । দ্রুত এর সমাধান না হলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।”অভিযোগ উঠেছে, রংপুর জেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী এ.কে.এম মশিউর রহমান নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এই কাজের অনুমোদন দিয়েছেন।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, যেখানে সরকার অনুমোদিত সেচের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে নতুন করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা কেটে সরকারি অর্থ অপচয় কেন হচ্ছে?সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার বড় একটি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে, যার ফলে যেকোন সময় রাস্তাটি ভেঙ্গে পরতে পারে ।
সেক্ষেত্রে চলাচলে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এলাকার মানুষকে চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হবে । সঠিক পরিকল্পনা এবং অনুমোদন ছাড়া এমন কাজ পরিচালিত হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মজিদুল ইসলাম বলেন, “রাস্তা কেটে সেচ পাইপ স্থাপন করার বিষয়ে আমাদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এটি একটি অনিয়ম।
আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “রাস্তা কাটার বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের দুর্ভোগ দ্রুত কমাতে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছি।”রংপুর জেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী এ.কে.এম মশিউর রহমান বলেন, রাস্তা কাটার বিষয়ে আমি অনুমোদন দিয়েছি।
রংপুর সার্কেলের বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) হাবিবুর রহমান খান বলেন, “ আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম।সরকারি অনুমোদিত সেচ এরিয়ায় নতুন করে সেচ অনুমোদনের প্রয়োজন নাই। যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”