রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ব্যর্থতা ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার না পাওয়া নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। একদিকে ৬ দিন ধরে অভিযান চালিয়েও মাদক কারবারি নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ, অথচ সেনাবাহিনী মাত্র এক অভিযানে তাকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, ১৮ দিন ধরে দুই শিশু সন্তান নিয়ে থানার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি সাজিনা খাতুন।গঙ্গাচড়ার মনাকষা এলাকা দীর্ঘদিন ধরে মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত। তবে থানা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে থাকা নুরুজ্জামানকে ধরতে পুলিশের ব্যর্থতা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযানে থাকা গঙ্গাচড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আলী আল রাদিত রোসান বলেন, “সেনাবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সফলভাবে অভিযান চালাল, অথচ পুলিশ দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও ব্যর্থ হলো! এর পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না, সেটি ভাবার বিষয়।”এছাড়াও আলমবিদিতর ইউনিয়নের মেয়ে ছেলের ঘটনাটিও প্রত্যক্ষ করেছি। উভয় পক্ষের মধ্যে সমোঝতা হওয়ার পরও কেন তাদের চালান দিয়েতে হয়েছে আমি বুঝি নাই কিংবা এটা কতটুকু জনবান্ধন সেবার মধ্যে পরে আমার জানা নাই। আবার হতবাক হয়েছি সেনাবাহিনী যখন অভিযান শেষে ওসিকে আসার জন্য ফোন দিলে তিনি কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এমন প্রশ্ন আমাকে হতবাক করেছে। এরকম হয়রানি মুলক অনেক মৌখিক অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।গঙ্গাচড়ার পাকুড়িয়া শরীফ চেয়ারম্যানপাড়ার বাসিন্দা সাজিনা খাতুন গত ১৮ দিন ধরে থানায় ঘুরছেন, কিন্তু বিচার পাননি।৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পারিবারিক বিরোধের জেরে দেবর, ভাসুর, জ্যা, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী মিলে তাকে মারধর, শ্বাসরোধ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।সাজিনা খাতুন বলেন, “আমার স্বামী প্যারালাইসিসের রোগী। দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমি অসহায়। প্রতিদিন হুমকি পাচ্ছি, কিন্তু থানায় অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাইনি। বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গিয়েছি।”এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া থানার ওসি আল এমরান বলেন, সেনাবাহিনী সফল হয়েছে, আমরা সফল হতে পারিনি।সাজিনা অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “একজন অসহায় নারীর অভিযোগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”