বাকেরগঞ্জ উপজেলার এল জি ই ডি'র সহকারী প্রকৌশলী বিতর্কিত রফিকুল ইসলাম বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে আতাত করে পুরো বাকেরগঞ্জ এলজিইডি অফিস অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বানিজ্যের আতুরঘড়ে পরিনিত করেছেন। বিতর্কিত এই সরকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তিনি তার অধিদপ্তরের আইন সমূহকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে নির্ভয়ে তার দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন । সামান্য একজন কর্মকর্তা হয়েও বরিশাল নগরীর অভিজাত এলাকা অক্সফোর্ড মিশন রোডে গড়েছেন বিশাল অট্টালিকা। তার এই আয়ের উৎস কি? হ্যা, উৎস হচ্ছে দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য। এল জি ই ডি'র সাধারন ঠিকাদার তার হাতে জিম্মি।
দুর্নীতি, ঘুষ বানিজ্যের অপরাধে তিনি বিগত ১০ বছর চাকরীচ্যুত ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের শাসনামলে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সহযোগীতায় চাকরীতে পুনর্বহাল হন এই বিতর্কিত কর্মকর্তা। কিন্তু কথায় আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, চাকরীতে পুনর্বহাল হওয়ার পরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের সাথে নিয়ে বাকেরগঞ্জে গড়ে তুলেছেন অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বানিজ্যের বিশাল সম্রাজ্য যাহা এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলমান।
বাকেরগঞ্জ উপজেলাধীন দাড়িয়াল, দুধল, দুর্গাপাশা, ফরিদপুর ইউনিয়নের এল জি ই ডি'র সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকপালের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন এই বিতর্কিত কর্মকর্তা। এই সুযোগ তিনি যথাযথ ব্যবহার করেছেন, গড়ে তুলেছেন দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের আখড়া, তার সাথে জোটে আছেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসড়।
যিনি রক্ষক তিনিই ভক্ষক বলছি বিতর্কিত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এর কথা। সরকারীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে যিনি নিয়োজিত আবার অপরদিকে উক্ত প্রকল্পের ঠিকদারের চরিত্রেও একই ব্যক্তি, তিনি হচ্ছেন এই বিতর্কিত কর্মকর্তা। তিনি কৌশলে ঠিকাদারের নিকট থেকে তার ছেলে মোঃ রাফছান রুমি'র নামে স্ট্যাম্পে কাজ বাস্তবায়নের চুক্তিপত্র করে ব্যাংকে ম্যান্ডেট একাউন্ট করে নিজেই কাজ বাস্তবায়ন করেন এই সরকারী কর্মকর্তা। যার দালিলিক প্রমান আছে (সংযুক্ত করা হলো) এবং বিভিন্ন ব্যাংকে তার ছেলের ম্যান্ডেট একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিচালিত হয় এই দুর্নীতির অর্থ।
দাড়িয়াল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান শহীদ হাওলাদার ও তার ভাগ্নে ঠিকাদার তানভীর দেওয়ান, দুধল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট, দুর্গাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান আবুল বাশার শিকদার, ফরিদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান এর সাথে অনেক গুলো প্রজেক্ট তিনি বাস্তবায়ন করেছেন এবং এখনো অনেক প্রজেক্ট চলমান আছে। এ ছাড়াও এই বিতর্কিত কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কে অর্থ প্রদান না করলে ঠিকাদারদের কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক বাধা প্রদান করেন।
এছাড়া বিতর্কিত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এর নামে আছে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ, আদালতে বিচারাধীন আছে ধর্ষন মামলার মত গুরুতর অপরাধ, ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতার জেড়ে দুর্গাপাশা ইউনিয়নের কাশিনাথ গ্রামের স্নেহা নামের একটি মেয়ের মিথ্যা প্রেমের ছলনা করেন এই দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা।
ঠিকাদারদের ভাষ্যমতে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আরো সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। এলজিইডি'র বরিশাল তথা বাকেরগঞ্জ উপজেলার তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের জবানবন্দিতে পাওয়া যায় এই দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার ঘুষ বানিজ্যের স্বর্গরাজ্য। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি কিন্তু এখন সময় এসেছে এই অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতিগ্রস্থ বিতর্কিত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার। বাকেরগঞ্জের সাধারন জনতা ও ঠিকাদার ব্যবসায়ীবৃন্দ এখন রুখে দাড়িয়েছে এই দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে বাকেরগঞ্জের উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ