শিরোনাম:
বিশ্বকে বদলের দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে বাংলাদেশের: ড. ইউনূস হিজলায় গরু চোর সিন্ডিকেটের হোতা বাবলু গ্রেপ্তার। লঞ্চঘাট-পূর্বইব্রাহীমপুর খেয়াঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন নওগাঁয় জামায়াতের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নামে সড়কের নামকরণের দাবি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির উদ্যোগে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেটে উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গোপালগঞ্জে কাশিয়ানী থানার ওসি ক্লোজড! ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হিজলা-ঢাকা সড়ক পথে দ্বিগুণ বাস ভাড়া আদায়।মালিক সমিতির দোহাই, প্রশাসন নিরব ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চিহ্নিত আ’লীগ দোসর সাইফুজ্জামান তদবির করে বরিশালে বদলি হতে চায়।

ঝাটকা রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানে বারবার হামলার নেপথ্যে যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
26.1kভিজিটর

বরিশালের হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ এবং চাঁদপুর অংশে মেঘনা ও এর শাখা নদী ঘিরে দেশের সবচেয়ে বড় ইলিশের অভয়াশ্রম।কিন্তু এখানে গত সরকারের আমলে হিজলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ শিকার করা হতো। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বর্তমানে হিজলার বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা এই মাছঘাটগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এসব অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে নামলে প্রায়ই তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।তবে বারবার হামলার কারন হিসাবে দেখছে স্থানীয় দাদন দিয়ে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের। ইলিশের অভয়াশ্রম মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলে স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীরা অসহায় জেলেদের ব্যবহার করে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে মাছ শিকার করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছেন।

বিশেষ করে অভয় আশ্রম এলাকায় মাছ ডিম থেকে বাচ্চা বড় হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নদীতে জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে।কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে পাই জাল মশারী জাল বেড় জাল দিয়ে সকল প্রকার মাছের বাচ্চা ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর এইসব অবৈধ ব্যবসায়ীরা আর এই অবৈধ ব্যবসায়ী হলেন ভাষান চরের শহীদুল ঘরামী,দেলোয়ার হোসেন দিলু,মেম্বার কবির বাগ,আলমগীর হাওলাদার।

দেশীর মাছে প্রজনন বাড়াতে নিষেধাজ্ঞা দিলে জেলেদের কাছে অসহায় হয়ে পরছে মৎস্য কর্মকর্তারা।নিষেধাজ্ঞা সফল করতে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে দাদনদারা উস্কে দিয়ে জেলেদের দিয়ে হামলা চালাচ্ছে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর। সম্প্রতি ১৯ মার্চ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কালা বদর নদীতে মৎস্য শিকার করছে সেখানে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে দুই জনকে।মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাত ৮৫ জনের নামে মামলা দ্বায়ের করেছে মৎস্য কর্মকর্তা।

কবির বাগ,শহীদুল,দেলোয়ার হোসেন দিলু,আলমগীর হাওলাদার যাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে মেহেন্দিগঞ্জের ঝাটকা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ,কঠোর অভিযানের কারনে এরা মৎস্য শিকার না করতে পেরে জেলেদের ব্যবহার করে মৎস্য কর্মকর্তাদের হামলা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর।তবে এর আগে পার পেয়ে যাওয়ার কারনে তারা বারবার হামলা করাচ্ছে বলে অভিযোগ।এদের আইনের আওয়াতায় আনতে পারলে ঝাটকা রক্ষা করতে পারবে বলে জানান অনেকে।

৩মার্চ কালাবদর নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মৎস্য শিকার করার সময় পালাতে গিয়ে জেলের মৃত্যু আর সেই মৃত্যুকে পুজি করে কবির বাগ,শহীদুল ঘরামী,দেলোয়ার হোসেন দিলু মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে স্থানীয়দের দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করে মৎস্য কর্মকর্তাদের উপর হামলা করার ভয় দেখিয়ে কয়েক দিনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকারা ঝাটাকা শিকার করেছে।
তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকার কারনে এমনটি হচ্ছে।

আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ার কারনে এমনটি হচ্ছে জেলেদের আটকের পরে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হলে তারা আবার পূনরায় আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পরছে।বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন যদি নিষেধাজ্ঞা সময় অভিযানে আটকৃতদের যদি জরিমানা না করে জেল সাজা নিশ্চিত করা যেত তাহলে মৎস্য শিকার অধিকাংশ নিয়ন্ত্রন হয়ে আসবে।তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার।আর তা নাহলে জাতীয় মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় কয়েকজন দাদনদার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গরীব জেলেদের দিয়ে নিষেধাজ্ঞার সময় মেঘনা নদীতে,তেতুলিয়া ও কালাবদর নদীতে ঝাটকা শিকার করায়।মৎস্য কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করার সময় তাদের উপর হামলা চালিয়ে নদী ফাঁকা করে ঝাটকা শিকার করিয়ে থাকে।অভিযোগ আছে ভাষানচর, বাগরজা,মেহেন্দীগঞ্জ এলাকায় বেশ কয়েকজন আছে যারা নেতৃত্ব দিয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়ে মৎস্য শিকার করে থাকে তারা হলেন ভাষান চরের শহীদুল ঘরামী,দেলোয়ার হোসেন দিলু, কবির বাগ, আলমগীর হাওলাদার,এরা জেলেদের ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করে থাকে।তবে এরা সব সময়ে থাকে ধরা ছোয়ার বাহিরে।এ বছর কঠোর অভিযানের কারনে পাই জাল দিয়ে মৎস্য শিকার করতে না পারায় জেলেদের দিয়ে হামলা চালিয়ে নদীতে মাছ শিকারের চিন্তা করছে।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনার সময় জেলেদের হামলার শিকার হয়েছিলেন ভোলা সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তাসহ সাতজন। মেঘনা নদীতে ইলিশের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে গত বছরের ১৮ অক্টোবর বরিশালের হিজলা উপজেলায় অভিযান চালানোর সময় ইউএনওর স্পিডবোটে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান জেলেরা। এ ঘটনার সময় র্যা বের সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মেহেন্দীগঞ্জে অভিযান চালাতে গিয়ে সংঘবদ্ধ জেলেরা নৌকা নিয়ে স্পিডবোটের ওপর উঠিয়ে দিয়ে হামলা চালান। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন ও আনসার সদস্য তুহিন মিয়া আহত হয়েছিলেন। এ সময় একজন আনসার সদস্যের সঙ্গে থাকা একটি শটগান নদীতে পড়ে খোয়া যায়।

সব ধরনের মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের ইলিশের ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে পাঁচটিতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ১ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাসংলগ্ন আন্ধারমানিক নদের অভয়াশ্রমটি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। এখানে গত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর—দুই মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x