বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এর আউটসাইড ক্যাডেটে বরিশাল বিভাগ থেকে ২১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার সারদায় যাওয়ার পূর্বে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মঞ্জুর মোর্শেদের দিকনির্দেশনায় বরিশাল জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেটে উত্তীর্ণদের সারদা যাওয়ার জন্য একটি এসি বাসের ব্যবস্থা করেন ও রাতের খাবারের আয়োজন করেন এবং যাওয়ার দিন সকালের নাস্তা বরিশাল জেলা পুলিশের থেকে ব্যবস্থা করা হয়।
সারদা যাওয়ার পথে দুপুরের খাবার বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ এর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার।
বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেট সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল বলেন আপনারা আগামী দিনের পুলিশের গৌরবময় সদস্য হবেন।
আপনাদের দ্বারা যাতে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরব অর্জিত হয় সেই দিকে সর্বদা খেয়াল রাখবেন এবং সব সময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে তাদেরকে সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা করবেন।বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন সব সময়ই পুলিশের নিয়োগ স্বচ্ছ হয় তবে এ বছর শতভাগ স্বচ্ছ হয়েছে আপনাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।
যার সাক্ষী আপনারা নিজেরাই আপনাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কারো কোন সুপারিশ শোনা হয়নি। প্রধান অতিথি আরো অনেক দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব নাজিবুল হক তিনি তার বক্তৃতায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেটে
সদস্যদের লক্ষ্য করে বলেন আপনারা আগামী এক বছর জীবনের ডিসিপ্লিং শেখার ট্রেনিং করবেন। তিনি আরো বলেন আপনাদেরকে ধন্য করেছেন বরিশাল রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি স্যার।
আমরাও সারদায় ট্রেনিংয়ে গিয়েছি কিন্তু আমাদের জন্য এ ধরনের কোন আয়োজন করেনি কেউ। আমরা যার যার বাসা থেকে সারদায় গিয়েছে। উপস্থিত সদস্য উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের অবস্থান ছোট হলেও আপনাদেরকে সম্মান করেছেন আমাদের ডিআইজি স্যার।
তিনি আরো বলেন কারো অবস্থান ছোট বড় বিষয় না। সবাই সবাইকে সম্মান করতে পারে। আপনারা যদি অন্যদেরকে সম্মান দেন তাহলে আপনারাও সম্মানিত হবেন।এছাড়াও তিনি আরো অনেক দিকনির্দেশনা মূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন। শরিফ উদ্দিন তার বক্তৃতায় উপস্থিত সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেটে উত্তীর্ণদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সারদার বিভিন্ন নিয়ম-কানুন ও গুরুত্বের কথা বলেন।
তিনি তার বক্তৃতায় বলেন আপনাদেরকে যারা ট্রেনিং করাবে তারা যদিও আপনাদের থেকে পজিশনে ছোট তারপরও তাদেরকে উস্তাদজি বলে ডাকবেন এবং তাদের দেয়া শিক্ষা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করবেন। তাহলে আপনারা একজন ভালো পুলিশ অফিসার হতে পারবেন। এছাড়াও তিনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন উপস্থিত সদস্যদের জন্য। উক্ত অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গনও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেট সদস্যরা সাংবাদিককে বলেন আমাদের জন্য এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের অভিভাবক রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ স্যার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আমরা ডিআইজি স্যার এবং যারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজক সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আরো বলেন আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের সিনিয়র স্যারেরা যে দিক নির্দেশনা মূলক উপদেশ দিয়েছেন তা আমাদের সারা জীবনের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
বরিশাল বিভাগ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আউটসাইড ক্যাডেটে উত্তীর্ণরা হলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে মেহেরাব হোসেন শীতল,মুলাদী উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুদ্দিন,বরিশাল সদর উপজেলার জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ জিসান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার এর ছেলে মোঃ নাজমুল ইসলাম,বরিশাল সদর উপজেলার মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ ইমরুল কায়েস, উজিরপুর উপজেলার মোঃ লোকমান হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাসিব, বানারীপাড়া উপজেলার আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে মোঃমাহমুদুল হাসান, উজিরপুর উপজেলার আব্দুর রব খান এর ছেলে মোঃ শাকিব খান, বরিশাল সদর উপজেলার হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন,মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ রাসেল, বাউফল উপজেলার আইয়ুব খানের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক,বাউফল উপজেলার শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত, গলাচিপা উপজেলার মোঃ ইসহাক গাজীর ছেলে মোঃ নাজিম হোসেন, কলাপাড়া উপজেলার সন্তোষ কুমার হাওলাদারের ছেলে শান্তি রঞ্জন হাওলাদার, দশমিনা উপজেলার মোঃ আব্দুল লতিফ হাওলাদার এর ছেলে মোঃ সুজন হাওলাদার রাকিব, বাউফল উপজেলার আব্দুল আলীম এর ছেলে আল ইমরান হোসেন মারুফ, পাথরঘাটা উপজেলার আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে তারেক মাহমুদ,তালতলী উপজেলার মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম, রাজাপুর উপজেলার আঃ সালাম খানের ছেলে মোঃ মাহমুদ খান, ভান্ডারিয়া উপজেলার মোঃ মাকসুদুর রহমানের ছেলের তানভীর আহম্মেদ।