ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের ঘটনায় মুকুল শেখ (৫০) নামে একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী অন্ত:সত্ত্বা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১৪।
এ ঘটনায় মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর বয়সী ওই ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামের কিতাবদী শেখের ছেলে লম্পট মুকুল শেখ (৫০)। মুকুল শেখ পাঁচ সন্তানের জনক। বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটির বাবা মুকুলকে মেয়েকে উত্যাক্ত করতে নিষেধ করলে মুকুল শিশুটির বাবাকে হুমকি-ধমকি দেয়।
এর জের ধরে চলতি বছরের গত ১২ জানুয়ারি বিকেলে শিশুটি বসতবাড়ির পাশের সরিষার ক্ষেতে শাক তুলতে গেলে মুকুল শেখ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে গত ২৮ মার্চ তাকে বোয়ালমীরী মোল্লা ডা. এ হালিম হাসপাতালের চিকিৎসক শোভন সাহাকে দেখানো হয়। সেখানে করা ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় শিক্ষার্থী দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষার্থী জানায় মুকুল শেখ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা মুকুল শেখকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে (মুকুল) ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে এবং মামলা-মোকদ্দমা করলে শিশুটির বাবাকে খুন-জখমের হুমকি দেয়।
গত ৮ এপ্রিল অন্ত:সত্ত্বা শিশুটিকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া দেন। এ ঘটনায় কোন উপায়ন্তর না পেয়ে শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।