বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কাজী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা টাকার লোভ দেখিয়ে এক নারীকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা, এমন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিলে সরেজমিনে ঘটনার সত্য বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এলাকাজুড়ে সম্মানহানি গুঞ্জন বইছে “টাকার লোভ দেখিয়ে নারীকে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ” এমন শিরোনাম দিয়ে একটি অনলাইনে চলতি বছরের বুধবার (০২ এপ্রিল) মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে জানান ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা।
মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ষড়যন্ত্রের শিকার যুবদল নেতা কাজী আলাউদ্দিন বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে নারী কণ্ঠে ভয়েজের কথা উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদে যা লেখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে মান সন্মান ক্ষুণ্ণ করার চক্রান্ত।
তিনি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি নূন্যতম আমার কথাগুলোর রেকর্ডিং প্রকাশ করতে পারে তাহলে সকল অপরাধ মাথা পেতে নেবো। ঘটনার শুরু শেষ কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। পরিষ্কার কোন তথ্য প্রমাণ নেই।
নারীর নাম ঠিকানা নেই। আমার সাক্ষাৎকার নেই। আমি কোন নারীকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফিটিং প্রস্তাব দেয়নি এবং কোন টাকারও অফার করিনি। ঘটনাচক্রে বিষয়টিতে এখন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান কাজী আলাউদ্দিন।
দলের নিবেদিত কর্মীদের ভাষ্য, একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া অপপ্রচার চালানোয় হয়।
অপপ্রচারকারীদের পক্ষ নিয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির দলের পরীক্ষিত নির্যাতিত নিবেদিত কর্মী বান্ধব নেতা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মোঃ জাহাঙ্গীরের পদ স্থগিত করে জেলা বিএনপি। ষড়যন্ত্রকারীদের সুবিধা দিতে প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ-অব্দি সেই স্থগিতাদেশ ফাইল বন্দী রয়েছে।
সম্প্রতি কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি সভায় উপস্থিত থেকে পরিষদের রেজুলেশনে কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নামে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদ মাঝি ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির ওয়াসিম স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে ৪০০ ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ করে। যা প্রদান করা হয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে।
এই ঘটনা গোটা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিষদে গিয়ে ইউপি সচিব আঃ করিম কে জিজ্ঞাসা করলে সচিব দ্রুত কার্ডগুলো উদ্ধার করে সচিবের কাছে জমা রাখা হয়। কিন্তু ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের পরিকল্পনা মতে কার্ডগুলো ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে পরিষদে ডেকে নিয়ে উদ্ধার করা কার্ড গুলো গরীব অসহায় লোকের কাছে বিতরণের জন্য দেয় সচিব আঃ করিম।
এরপর এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলে ইউনিয়ন বিএনপির দুর্নীতিবাজ আওয়ামী ঘরানার আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং তাদের অনুসারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম সেলিম মোল্লা ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম সাবু বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন, আবদুল হক সিকদার ও আবু তাহের খোকন মুন্সির পদ স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, পদ স্থগিত করা তিন নেতার মধ্যে আবু তাহের খোকন মুন্সি ঘটনার সাথে জড়িত নন ও দলীয় কোনো পদে নাই এবং আবদুল হক সিকদার এ ঘটনার সাথে জড়িত নন।
এর কিছু দিন যেতে না যেতেই এবার যুবদল নেতাদের নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতেছে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদ মাঝি ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির ওয়াসিম।
স্থানীয় দলের একাধিক সূত্র জানায়, জেলা ও সদর উপজেলা বিএনপির কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করে কাশিপুর বিএনপিকে ধ্বংস করতে দলের উল্লেখযোগ্য পরীক্ষিত নেতাদের নামে বিভিন্ন সময় নিজেদের মনগড়া মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে নিজেদের পদ আগলে রাখতে মরিয়া আওয়ামী ঘরোনার আহবায়ক আলী আহম্মদ মাঝি ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির ওয়াসিম।
যুবদল নেতা কাজী আলাউদ্দিন জানান দলের দুর্দিনেও আমি এবং আমার সাথে যারা সমর্থক ছিলেন। দলের যে কোন কর্মসূচী তে সরাসরি যোগদান এবং বাস্তবায়ন করতে মাঠে ছিলাম এখনো আছি। দলের এক কুচক্রকারীগন আমার রাজনীতি ক্যারিয়ার এবং এলাকায় সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এর সবার সু দৃষ্টি কামনা করছি।