শিরোনাম:
নিজ ছেলের দায়ের কোপে মা মনজিলা খুন শান্তিগঞ্জে ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে প্রাঃ স্কুল মাঠ থেকে অবৈধভাবে মাঠি উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান মহিলা কলেজের টাকায় অধ্যক্ষ পান্তা ইলিশ খাওয়ালেন নেতাকর্মীদের প্লট দুর্নীতিতে হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা শান্তিগঞ্জের উকারগাঁও গ্রামের মনির হোসেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন বিশ্বম্ভরপুরে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন রুপগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বাসায় চুরি বরিশাল কনস্টেবল নিয়োগে হবে শতভাগ সততা ও স্বচ্ছতায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম এবং বিএনপি নেতা চাল আত্মসাৎ বিএনপি’র দলীয় পতাকা সাদৃশ্য পতাকা ব্যবহার করে অভয়াশ্রমে মাছ শিকারের অভিযোগ।

চিহ্নিত চাঁদাবাদ সানিকে গ্রেফতার করে প্রশংসায় ভাসছেন পিরোজপুর পুলিশ সুপার

বেলাল হোসেন সিকদার
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
4.7kভিজিটর

পিরোজপুর জেলা সদরের একটি নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘটনায় সারাদেশে শোরগোল সৃষ্টি হয়। চাঁদাবাজির ঘটনার বিষয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিট মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের চাঁদাবাজ হল পিরোজপুর জেলায় ৫ই আগস্ট এর পরে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের অন্যতম হোতা মোসাব্বির মাহমুদ সানির নাম।

নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির কারণে সানিকে পিরোজপুর সদরের নাগরিক কমিটি সহ সকল বৈষম্য বিরোধী কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।সানির মতো একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ৫ই আগস্ট এর পরে কোন কমিটিতে থাকবে না এটাই বাস্তব।
এমন বাস্তবতা উপলব্ধি করে সানিকে বহিষ্কার করেন নাগরিক কমিটি সহ সকল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কমিটি।

পিরোজপুর নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে মোসাব্বির মাহমুদস সানির প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনার সংবাদটি ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যাপকভাবে প্রচার হলে উক্ত সংবাদটি বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান আইজিপি,বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও পিরোজপুর পুলিশ সুপারের নজরে আসে।

পিরোজপুর নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠার এর ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম একটি চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা দায়ের করেন পিরোজপুর সদর থানায়।মামলায় মুসাব্বির মাহমুদ সানির নাম উল্লেখ সহ আরো তিনজনার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা ২০-২৫ জনকে আসামি করেন।

সানির আলোচিত চাঁদাবাজির ঘটনাটি যখন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং মামলা হয় এরপরে কর্তৃপক্ষ পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন সানিকে গ্রেফতারের জন্য।এরপর পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার তার অফিসার ও ফোর্স নিয়ে গ্রেফতারের অভিযানে নামে এবং সানিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পিরোজপুরের চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাস মাদকসম্রাটকে পিরোজপুর জেলা পুলিশ গ্রেফতার করায় পিরোজপুর জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান পিরোজপুরের সাধারণ জনগণ সহ সকল মহলের ব্যবসায়ী কর্মজীবী মানুষেরা।

কারণ হলো মোসাব্বির মাহমুদ সানি পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড, রিকশাস্ট্যান্ড সহ পিরোজপুরের যত সব ব্যবসায়িক স্পট রয়েছে সব জায়গায় সানি চাঁদাবাজির হাত বাড়িয়েছিল তাই।

পিরোজপুরের সাধারণ জনগণ বলেন ৫ই আগস্টের পরে সানি একজন মাফিয়া গডফাদার হয়ে উঠছিল পিরোজপুর জেলায়। পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার এই মাফিয়াকে গ্রেফতার করে এবং তার সঙ্গপাঙ্গদের দমন করায় তার প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব বলে জানান সাংবাদি কে।

সম্পত্তি কতিপয় আ’লীগ দোসররা মিলে চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাস মাদক সম্রাট হিসাবে পরিচিত পিরোজপুরের সানিকে ছাড়াতে মানববন্ধন করেন।চাঁদাবাজ সানির পক্ষে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা টাকা পয়সার বিনিময় মানববন্ধন করার ফলে পিরোজপুরের সর্বমহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় ও খোবের সৃষ্টি হয়েছে।পিরোজপুর সচেতন মহলের একাধিক সচেতন নাগরিক সাংবাদিককে বলেন একজন সন্ত্রাস ও প্রকাশ্য চাঁদাবাজ আটক হওয়ার ফলে তার মুক্তির পক্ষে মানববন্ধন হবে এটা আমাদের পিরোজপুর বাসীর জন্য লজ্জার ও অসম্মানের। পিরোজপুর জেলার সচেতন মহল যারা সানির পক্ষে মানববন্ধন করেছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং তারা মনে করে এরা চাঁদাবাজ সানির সহযোগী।

চিহ্নিত ও প্রকাশ্য চাঁদাবাজ,সন্ত্রাস সানির গ্রেফতার ও পিরোজপুর জেলার আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের সাংবাদিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমি পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে আমার আওতাধীন সকল থানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সহ পিরোজপুর জেলায় কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাস মাদক ব্যবসায়ীর ঠাই হবে না সে যে দলেরই হোক না কেন।

তিনি আরো বলেন অনেক রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে ফ্যাসিস্ট মুক্ত হওয়া বাংলাদেশে আবার চাঁদাবাজি হবে সন্ত্রাসী হবে এবং পুনরায় ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে এটা প্রশাসন সহ-সাধারণ সাধারণ কখনই মেনে নিবে না। আমরা পিরোজপুর জেলা পুলিশ সব সময় সাধারণ মানুষের জান মাল রক্ষার জন্য নিরালশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

পিরোজপুর পুলিশ সুপার আরও বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি পিরোজপুর জেলায় মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজ নির্মূল করতে সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে যারা ৫ই আগস্ট এর পূর্বে ছাত্র জনতার উপরে যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান।

সানির বিষয় পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন সানি প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করেছে যা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে এবং বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবাই জানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশই আমি সানিকে গ্রেফতার করেছি। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী যেই দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার। সানির মুক্তির পক্ষে মানববন্ধনের বিষয় পিরোজপুর পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আ’লীগের একটি অংশ সহ কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা সানিকে দিয়ে অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে।এই মানববন্ধন কারীদের মধ্যে যদি সানির কোন সহযোগী ও ফ্যাসিস্টের দোসর থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে।

চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী সানিকে গ্রেফতারের বিষয় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বলেন বরিশাল রেঞ্জে যে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে। সে যে দলের লোক হোক না কেন।বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আরও বলেন আমরা দেখেছি ইলেকট্রনিক্স ও প্রিমিডিয়ার মাধ্যমে সানির চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাই আমরা তাকে আইনের আওতায় এনেছি।

সানির পক্ষে যারা মানববন্ধন করছে তাদের বিষয়ে কি বলবেন জানতে চাইলে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি বলেন ৫ই আগস্ট এর পরে একজন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসের মুক্তির পক্ষে মানুষ আবার মানববন্ধন করবে এটা আমাদের সকলের জন্য লজ্জার ও দুঃখজনক। সানির কর্মকাণ্ডের জন্য অবশ্যই সানি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।সানিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি পিরোজপুর পুলিশ সুপার সহ সকল অফিসার ও ফোর্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পিরোজপুর জেলার সকল থানার একাধিক সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, পিরোজপুর পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের পিরোজপুর জেলায় যোগদান করার পর থেকেই পিরোজপুর জেলার সকল থানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং তারা আরো বলেন এখন আমাদের পিরোজপুর জেলায় চুরি, ডাকাতি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি নাই বললেই চলে।

সেই সাথে তারা আরো বলেন বর্তমানে পিরোজপুর জেলায় মাদক ব্যবসায়ীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন পিরোজপুর পুলিশ সুপার সহ পিরোজপুরে সকল অফিসার ও ফোর্সদের ভয়ে।পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার ও বর্তমান অফিসার ফোর্স দের সম্পর্কে ভুয়াসি প্রশংসা করেন তারা।

মোসাব্বির মাহমুদ সানি জেল হাজতে থাকায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনার বিষয় সানির কোন বক্তব্য দেওয়া গেল না।

এরপর সানির একাধিক স্বজনকে ফোন করলে কয়েকজন ফোন রিসিভ করার পড়ে সাংবাদিকের পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথেই ফোন কেটে দেয়।তাই সানির কোন আত্মীয়-স্বজনেরও বক্তব্য দেওয়া গেল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x