পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে গরীব, অসহায় জনগন এবং মিসকিনদের জন্য সরকারী সহায়তার (ভিজিএফ) ২০০ কার্ডের কমপক্ষে ২০০০ কেজী চাল বিতরণে অনিয়ম এবং আত্মসাৎ করার খবর পাওয়া গেছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাম কবির সেলিম এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী ঠ্যাডা এই অনিয়ম ও আত্মসাতের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্থানীয় জনসাধারণ এবং চাল বিতরণের সময় উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রতি বছরের ন্যায় বিগত ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সরকার গরীব অসহায় দুস্থ্য পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ১০ কেজী খাদ্য সহায়তা প্রদান করে।
ইউনিয়ন পরিষদ এর মাধ্যমে প্রদত্ত খাদ্য সহায়তায় ভাগ বসায় ৬ নং বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাম কবির সেলিম এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী ঠ্যাডা। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম মীর এর সাথে গোপন বৈঠক এর মাধ্যমে ২০০ কার্ড এর সমঝোতা হয়।
ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরনে না জড়াতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নেতৃবৃন্দের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাম কবির সেলিমের পক্ষে মোঃ মামুন হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী ঠ্যাডা নিজে পরিষদে উপস্থিত থেকে ২০০ কার্ডের ২০০০ কেজী চাল গ্রহন করে ভ্যান যোগে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এতে জন সাধারনের মনে স্থানীয় বিএনপি এবং দলের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃস্টি হয়।
বিগত স্বৈরাচার আমলের আওয়ামিলীগ থেকে সুবিধা ভোগী বিএনপি সভাপতি সালাম কবির সেলিম এবং সাধারন সম্পাদক আজাহার আলী ঠ্যাডা গত ৫ আগষ্টের পর ৬নং বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম মীর ও আওয়ামী মেম্বারদের সাথে সকল কাজের ভাগ বাটোয়ারা করে আসছে। উন্নয়ন বরাদ্দের সকল কাজে তাদের দুইজন কে ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ভাগ দিতে হয়।
অন্যাথায় ছাত্রদল সভাপতি আবু সুফিয়ান মোল্লার নেতৃত্বে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে কাজ বন্ধ রাখা সহ বিভিন্ন উপায়ে হয়রানী করে।
এছাড়াও এলাকার সকল সালিশ বানিজ্য, ক্ষুদ্র মৎসজীবী ও জেলে সমিতির আড়ালে জেলেদের হয়রানী, টাকার বিনিময়ে জেলে কার্ড বিতরন, থানার দালালী, অবৈধ বালু উত্তোলন সহ সকল কর্ম কান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন বিএনপি সভাপতি ও সম্পাদক।